জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম থেকে:
লোহাগাড়ার শোকসভায় একইমঞ্চে উঠলেন আওয়ামী লীগের ৩ নেতা। তাঁরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়ার বাসিন্দা হলেও স্নায়ুযুদ্ধে এতদিন একমঞ্চে উঠা থেকেও দূরে ছিলেন কৌশলেই। কিন্তু লোহাগাড়ার শোকসভায় সোমবার একমঞ্চেই তাদের দেখলেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
শোকসভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুউদ্দিন নদভী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে অনুষ্ঠানস্থলসহ পুরো সাতকানিয়া-লোহাগাড়াজুড়ে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরুর সঞ্চালনায় ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের এ শোকসভা মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে। মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী আয়োজন করা হইয়াছে।
একইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।শোকসভা শেষে ৮ হাজার মানুষের আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে লোহাগাড়া যুবলীগের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা এইচ এম গণি সম্রবাট বলেন, সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুউদ্দিন নদভী, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম আমিন— এই তিন নেতার একইমঞ্চে উপস্থিতি লোহাগাড়াবাসীর জন্য বড় প্রাপ্তি।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের শোকসভা উপলক্ষে এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম প্রস্তুত। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তত রয়েছে স্পেশাল ফোর্স।