পুলিশ যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা কোথায়? সরকারের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও কর্মকর্তাদের চারিত্রিক অবনমন, ব্যাংকখাতে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি, রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা দেশকে এক সংকটময় ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ সকল সমস্যা সমাধানে জনগণের ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নাই।
শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনাঃ ভারতীয় উগ্রবাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীর বিতর্কের পর আসামের ১৯ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে যাচ্ছে। বিজেপি সরকারের ভাষ্যমতে এ ১৯ লাখ মানুষ বাংলাদেশী নাগরিক। বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতেই সরকার যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, সেখানে আসামের ১৯ লাখ নাগরিক এনআরসির রিপোর্ট থেকে বাদ পড়া বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বর জন্য হুমকি। ১৯ লক্ষ বাঙ্গালীর নাগরিকত্ব হরণ করায় আমরা চুপ থাকতে পারি না, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর’১৯ ইং রোজ মঙ্গলবার খুলনার শহীদ হাদীস পার্কে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন খুলনা বিভাগীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।
সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ-এর সভাপতিত্বে এবং খুলনা জেলা সভাপতি এস কে নাজমুল হাসান ও নগর সভাপতি মুহা. সাইফুল ইসলাম-এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি আরো বলেন গার্মেন্টসশিল্প বর্তমানে চরম সংকটে। শুধু এক কারখানায় চাকরীচ্যুত ৭০০ শ্রমিক। চামড়া শিল্প একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। দেশ এখন চরম নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে। পুলিশ যেখানে নিরাপদ নয়; সেখানে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা কোথায়? সরকারের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও কর্মকর্তাদের চারিত্রিক অবনমন, ব্যাংকখাতে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি, রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা দেশকে এক সংকটময় ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ সকল সমস্যা সমাধানে জনগণের ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নাই।
বিভাগীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন দেশে কর্মমুখী শিক্ষার অভাবে বেকারত্ব কঠিন আকার ধারন করেছে। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ৪৭% স্নাতকই বেকার। যা দেশের সরকারের চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। নেতৃত্ব গড়ার কারিগর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের আধিপত্ব বিস্তারের রাজনীতি সচেতন মহলকে জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে।
তিনি আরো বলেন শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, অপরাজনীতি, দলীয়করণ বেড়েই চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার প্রয়োজনীয় সুযোগ নেই। গবেষণা খাত আজ চরম হুমকির মুখে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য। সরকারের ছাত্র রাজনীতির সমস্যা দূরীকরণে কার্যকরী কোন ভূমিকা নেই, যা আগামীতে উন্নয়ন-সুশাসন ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রতিবন্ধক। ক্যাম্পাসে ছাত্র অপরাজনীতির বলি হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী; তৈরি হচ্ছে নেতৃত্ব সংকট।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাও: আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাও: ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাও: মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহা. আল-আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহা. আব্দুল জলিল, কেন্দ্রীয় সদস্য এম এ হাসিব গোলদার, মুহা. ইবরাহীম হুসাইন।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন নগর সভাপতি শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, জেলা সহ-সভাপতি মাওঃ রেজাউল করিম, নগর সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওঃ দ্বীন ইসলাম, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সজীব মোল্লা, নগর সহ সাংগঠনিক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আসাদুল্লাহ হামিদি, সহ সাংগঠনিক মাওঃ আশরাফুল ইসলাম, নগর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, জেলা প্রচার সম্পাদক মাওঃ হারুনুর রশীদ, মুহাঃ ইসহাক ফরীদি, মাওলানা হাফিজুর রহমান, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, ডাঃ মাওঃ নাসির উদ্দিন, মাওঃ হাফিজুর রহমান, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান, মাওঃ আবু সাঈদ, আলহাজ মাওলানা ইমরান হুসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, এস এম আবুল কালাম আজাদ, গাজী মুরাদ হোসেন, মুফতী হেলাল উদ্দিন, যুব নেতা মাওঃ তাওহীদুল ইসলাম মামুন, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোঃ হুমায়ুন কবীর, এইচ এম জুনায়েদ মাহমুদ, ছাত্র নেতা মুহাঃ আমিরুল ইসলাম, মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, কাজী আল আমিন, মুহাঃ নাজমুল হুদা, আব্দুস ছালাম জায়েফ, মুহাঃ নাজমুস সাকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।