ব ঙ্গ ব ন্ধু শে খ মু জি বু র র হ মা ন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, তিনি নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলেন। যাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ করে দেশটিকে স্বাধীন করলেন, তাহারাই পাকিস্তানি শোষকদের চরিত্রে স্বাধীনতার স্থপতির সাথে তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ঘাতকতা করলেন।
আমার সোনার 🇧🇩 বাংলাদেশ বয়স ৪৮ বছর। স্বৈরাচারীদের থেকে ১৯৭১সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ২০১৯ইং পর্যন্ত স্ব-দেশীদের স্বার্থসিদ্ধির অভ্যান্তরীন যুদ্ধ কি আজও শেষ হয়েছে? আজও কি স্বাধীনতার স্বাদ বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে? বরং উল্টো দিকে চলছে স্বপ্নের স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতমুখী এক অনাকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের দেখা পেয়েছে সহজ সরল স্বভাবের হতভাগা জাতি।
অত্যাচারী স্বৈরশাসকের শোষণ থেকে বাঁচার জন্য লড়াই করে স্বাধীনতা লাভ করার পর অত্যাচারের চিত্র মোটেও পাল্টেনি। পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠির অত্যাচারের চিত্র এতোটা আগ্রাসী বা ভয়াবহ নয়, আমাদের পরস্পরের মধ্যে চলমান বাংলাদেশের অত্যাচার অবিচার আর অমানবিকতার চিত্র যত আগ্রাসী চরিত্রের এবং ভয়াবহ! বাস্তবতা মিলিয়ে দেখুন, সত্যি সত্যিই আমরা স্বাধীনতা লাভ করতে পারিনি, শুধুমাত্র নামের স্বাধীনতা পেয়েছি।
স্বাধীনতার পরপরই যেভাবে হত্যাকান্ড সংঘটিত হলো, সেখানে যাদেরকে হত্যা করা হলো- সেটাও কি পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠির অত্যাচার! যদি এই হত্যাকান্ডটি আমাদেরই রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য সংগঠিত করা হয়ে থাকে, তাহলে পাকিস্তানি শোসকরা কি কারণে শোষক বা স্বৈরশাসক ছিল?
ব ঙ্গ ব ন্ধু শে খ মু জি বু র র হ মা ন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হলেন, যাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ করে দেশটিকে স্বাধীন করলেন, তাহারাই পাকিস্তানি শোষকদের চরিত্রে স্বাধীনতার স্থপতির সাথে তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ঘাতকতা করলেন। জেলখানায় কি এদেশের একটি কুচক্রী মহল জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করেনি? তাহলে কিভাবে বাংলাদেশ শোষণ মুক্ত হলো? কিভাবে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ অধিকার ফিরে পেল? কেমন অধিকার এটা একটু জানতে ইচ্ছে করে। হায়রে স্বাধীনতা! আপসোস।
জিয়াউর রহমান সাহেব, তিনি কি স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করেননি? তিনি কি মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন না? শোষনমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন কি তার হৃদয়ে ছিল না? তাকেও তো নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হলো, এটা কি পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠির শোষণ নিপীড়ন নির্যাতনের চেয়ে কম কিছু? তাহলে সেই মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থকতা কোথায়? একেমন স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা? হায়রে স্বাধীনতা!
স্বাধীনতার পর থেকে চল্লিশ বছরের বিস্তারিত সব অত্যাচারের হিসেব বাদই দিলাম, রাজনৈতিক সব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাজার হাজার জনগণের রক্তভেজা জনপদ আর ইতিহাস বাদই রাখলাম, শুধুমাত্র পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে আপনি বলতে গেলে এটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন ধারাতেই বলতে পারবেন? যুদ্ধের সময় কি শোষক গোষ্ঠির কেউ বাংলাদেশের এতোগুলা বড় বড় বুদ্ধিমান সেনা অফিসারকে হত্যা করতে পেরেছে? কল্পনাও করতে পারেনি, হত্যা তো দূরে থাক, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচার গোষ্ঠী পেরেছে, একেমন স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা? কি লজ্জাজনক অধ্যায় রচনা করে চলছি মুক্তিযুদ্ধার মুকুট পরা আমরা বাংলাদেশী জনগণ? হায় হায়।
পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠি আমাদেরকে নুন্যতমও কোনো অধিকার দিতেন না, তাই আমরা আমাদের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অধিকার সহ সকল প্রকার অধিকারের জন্য স্বাধীনতার লড়াই করেছি, কিন্তু আমরা কি সত্যি সত্যিই লড়াইয়ের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছি? জেলখানায় হিসেব নিন, বন্দীদের কত পারসেন্ট রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, ক্ষমতার অবৈধ আধিপত্যের কারণে কত শত হাজার নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা বিরোধী চেতনায় চলা খুবই আগ্রাসী চরিত্রের স্বদেশী শোষক গোষ্ঠির খুব ভয়াবহ অমানবিক জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই হতভাগা জাতি কেমন স্বাধীনতা পেয়েছে?।
স্বাধীনতা যুদ্ধের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো- বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়া, কিন্তু ফলাফল কি পেলাম? কেউ গড়লো হাজার লাখ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়, আর কেউ পঁচা দুর্গন্ধের ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জমার মধ্যে খুঁজে আহার! কি নিষ্ঠুর বৈষম্য আচরণ! স্বাধীনতা পরবর্তী বৈষম্য কি স্বাধীনতার পূর্বের চেয়ে ভয়ংকর নয়? সবশেষে ভিন্ন ধরনের কুকৌশলে।
শাপলা চত্বর ট্রাজেডি থেকে বোরহানউদ্দিন হয়ে না জানি কোথায় ছুটে চলছে সোনার 🇧🇩 এদেশ? আমি একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে খুবই শঙ্কিত মনে দিনাতিপাত করছি, ইতিমধ্যে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব বিরোধী অনেক কিছুই পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষমতার লালসায় মাতাল চক্র রাজনৈতিক অরাজনৈতিক অরাজকতার সৃষ্টি করার পায়তারা করছে, এসবই স্বাধীনতা এবং দেশদ্রোহীতা।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই স্বাধীন স্বার্বভৌম প্রিয় 🇧🇩 মাতৃভূমি বাংলাদেশ পৃথিবীর সকলের জন্যই একটি নজিরবিহীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হাজার বছরের সম্প্রীতির এই ঐতিহ্যকে নষ্ট করে ফায়দা হাসিলের ধান্ধা শুরু করেছে দেশ বিরোধী কুচক্রী মহল। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। দেশ ইসলাম ও মানবতার এসব শত্রুদেরকে প্রতিহত করতেই হবে ইনশাআল্লাহ।