এম.কলিম উল্লাহ, কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর পার্শ্বে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী তাবলীগ জামাতের কক্সবাজার জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা উপজেলার তাবলীগের সাথীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সম্পন্ন হতে চলছে এ প্রস্তুতি।
ইতিমধ্যে ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে কক্সবাজার জেলা তাবলীগের শুরা সদস্য ও বিমানবন্দর সড়কস্থ মাদ্রাসা জামিয়াতুল আবরারের মুহতামিম মাওলানা আতাউল করিম নিশ্চিত করেছেন।
জামিয়াতুল আবরারের মুহতামিম ও বিমানবন্দর জামে মসজিদের খতিব মওলানা আতাউল করিম আরো জানান-৪৫০ ফুট বাই ১৪৫০ ফুট সাইজের প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে কমপক্ষে ১ লক্ষ লোক ৩ দিন থাকাতে পারবেন। এছাড়া, ৭৫০ টি টয়লেট, ১ হাজার প্রসাবখানা, ১০০ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। পয়ঃনিস্কাশনে যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিআইপি ও ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে আসা মেহমানদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে। পাশাপাশি তাবলীগের প্রায় এক হাজার সাথী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করবেন। যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসকে স্টেনবাই রাখা হয়েছে।
ইজতেমায় প্রাথমিক বয়ান শুরু হয়েছে আজ বুধবার আসরের নামাজের পর। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামিকাল বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হবে। ঢাকার কাকরাইলের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সকালেই বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছাবেন। অন্যন্যরা সড়কপথে আজ রাতেই কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেবেন বলে মাওলানা আতাউল করিম জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে দেশের জেলা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত তাবলীগ জামায়াতের সাথীরা ইজতেমা ময়দানে সমবেত হয়েছেন।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি ও সারি সারি ঝাউ গাছ অপেক্ষমান আল্লাহর মেহমানদের বরণ করার জন্য ৷ এখানে হাজারো মুমিনের কন্ঠে ৭-৯ নভেম্বর পর্যন্ত রব উঠবে ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ জিকিরের।