শিরোনাম

কক্সবাজার খরুলিয়ার ইয়াবা ডন নুরাইয়া গ্রেফতারে ইয়াবা সম্রাট নাজির হোসেনের বিদেশ পালানোর চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের খরুলিয়া নয়াপাড়া এলাকার ইয়াবা ডন নাজির হোসেন সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রতিবেদককে ফোন করে গালিগালাজসহ জানে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।

তার ব্যাপারে অনুসন্ধান করে ইয়াবা ডন নাজির সম্পর্কে আরো নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ্যাকশন শুরু হলে নাজির তার ইয়াবা ব্যাবসার কৌশল পরিবর্তন করে ফেলেন ৷ তার ইয়াবা পার্টনার খরুলিয়ার আব্দু খালেকের ছেলে বাদশাকে কৌশলে সৌদিআরব পাঠিয়ে দেয়৷
নাজিরের দিকনির্দেশনায় বাদশা সৌদি হতে ইয়াবার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

নাজিরার স্ত্রী কান্তা, ভাতিজা এরশাদ, মুসলিম, মুসলিমের স্ত্রী, নুরাইয়া, আনোয়ারা বেগমের মাধ্যমে ৷ আর প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে নাজির হোসেন এসব অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। আমাদের অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, নাজির হোসেনের পার্টনার বাদশার সুন্দরী শালি বাবুনী ও তার ঢাকাইয়া স্বামীর মাধ্যমে দেশের অভিজাত এলাকা সমূহে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেন ৷ সাম্প্রতিক সময়ে বাবুনির স্বামী বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ কক্সবাজারের টার্মিনাল এলাকা হতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে আছে ৷

নাজির হোসেন সিন্ডিকেটের নুরাইয়া গ্রেপ্তার হলে অতি চালাক নাজির হোসেন বিভিন্নজনের ব্যাংক হতে রাতারাতি ১কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করে মালয়েশিয়ায় পাচার করে দেয়৷
মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী নাজির হোসেনের ফুফাতো ভাতিজা আমীনের মাধ্যমে তা মালয়েশিয়ান রিংগিতে পরিনত করে দেশে আনা হয় ৷

মূলত ইয়াবা ডন নাজির হোসেনের প্রায় আত্মীয় স্বজন ইয়াবা কারবারের সাথে সরাসরি জড়িত ৷ অথচ এ ব্যাপারে নাজির হোসেনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে সরাসরি অস্বীকার করে। ইয়াবায় সম্পৃক্ততা তার আত্নীয় স্বজনের অনেকের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারির বিভিন্ন সংবাদ ছবি সহ সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে ৷ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়া আগের সংবাদ ছিল খরুলিয়ায় শূন্য থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া ইয়াবা ডন নুরাইয়া গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে ৷

নুরাইয়াকে গ্রেপ্তারের পর ২৩ জুলাই news26tv তে শুন্যথেকে কোটিপতি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর একে একে বেরিয়ে আসছে আরো কিছু গডফাদারের নাম ৷

সরেজমিনে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে উঠে আসে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া ইয়াবা ডনের নাম ৷ তেমনি এক ইয়াবা ডনের নাম নাজির হোসেন ৷ যাকে খরুলিয়া নয়াপাড়ার ইয়াবা ডং হিসেবে একনামে সবাই চেনে ৷ মূলত নূরাইয়ার ডান হাত ছিলো নাজির হোসেন যাকে দিয়ে নুরাইয়ার ইয়াবা সম্রাজ্য চাংগা রাখছিল৷

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাজির হোসেনের পুরো পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত রয়েছে ৷ নাজির হোসেন ওরফে ইয়াবা নাজিরের পিতার নাম সাহাব মিয়া, গ্রাম খরুলিয়া নয়াপাড়া, কক্সবাজার ৷ একসময়ের স্বল্পপুজির ব্যবসায়ী নাজির হোসেন ইয়াবা কারবার করে বর্তমানে কোটিপতি ৷ ঘরে এসি বসানো থেকে শুরু করে বিলাসিতা জীবন। খরুলিয়ার ইয়াবার ডন নাজির হোসেন তার ভাতিজা মুসলিম, এরশাদ , এবং নাজির হোসেনের এর বউ কান্তা, বাদশা তারা মাদকের ছোবলে সমাজ নষ্ট করার মূল কারিগর৷ প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা ইয়াবার ব্যাবসা করে আসছে ৷

ইয়াবা ডন নাজির হোসেন প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে টেকনাফ হয়ে ইয়াবার চালান কক্সবাজারের খরুলিয়া নয়াপাড়ায় তার বাড়িতে এনে মজুদ করে ৷তার ভাতিজা এরশাদ উল্লাহ পিতা মোহাম্মদ আলম, মুসলিম পিতা মমতাজ মিলে বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবার চালান সাপ্লাই দিয়ে থাকে ৷ নাজির হোসেন ও তার স্ত্রী কান্তা, এবং বাদশা যাকে দ্রুত বিদেশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার চালান সাপ্লাই করে থাকে ৷

নুরাইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পরে বর্তমানে এরা সবাই আত্মগোপনে রয়েছে এবং গোপনে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার জোর চেষ্টা করতেছে বলে সূত্রে জানা যায় ৷ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়- ইয়াবা ডন নাজির হোসেনের আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও চুরি সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে ৷

ইয়াবা কারবারি মুসলিম ও তার বউ তানিয়া বেগম, ইয়াবা সংক্রান্ত মামলায় জেল খেটে সাম্প্রতিক সময়ে বের হয়ে আসে ৷
আনোয়ারা বেগম নামে তার আরেক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংক্রান্ত মামলায় বেশ কয়েকবার জেল খাটেন বলেও তথ্য পাওয়া যায়। তাদের সকলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানায় সন্ত্রাস ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে ৷ তাছাড়া খরুলিয়া নয়াপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে বাদশার বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠলে আইনের হাত থেকে বাঁচতে সুকৌশলে দালালের মাধ্যমে মোটা দাগে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান৷

মূলত এই বাদশায় নাজির হোসেনের মূল ব্যবসায়ীক পার্টানার ছিল এই বাদশা। পেটের ভিতরেই নাজির হোসেনের গুমর সেখান থেকে তার ইয়াবার কারবার পরিচালনা করে বলে জানা যায় ৷ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এরশাদ ও শামশুন্নাহার ইয়াবা কারবার করে তৈরি করেছে বিলাসবহুল বাড়ী ঘর ৷ একসময় যারা মোটামুটি জীবন যাপন করত বর্তমানে তারা সকলেই ইয়াবার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ৷

তাদের এহেন অনৈতিক ও সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে এলাকাবাসী ৷
কেউ প্রতিবাদ করে এগিয়ে আসলে তার উপর নেমে আসে নাজির হোসেন বাহিনীর অত্যাচারের খড়গ ৷ আমাদের প্রতিবেদকের মাধ্যমে সচেতন এলাকাবাসীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ইয়াবা সম্রাট নাজির হোসেন ও তার আত্মীয় স্বজনদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক ৷

অন্যথায় এরা সকলে আত্মগোপনে না হয় বিদেশে পাড়ি জমিয়ে তাদের ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী আশংকা প্রকাশ করেন ৷ ইয়াবা সম্রাট নাজির হোসেন ও তার আত্মীয় স্বজনদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক ৷

নিউজটি শেয়ার করুন :