কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন দোকানগুলোতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন বিভিন্ন রকমের যৌন উত্তেজক ঔষধ ও নিরব ঘাতক বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংকস।
নেশার জগতে এখন নীরব ঘাতকের আরেক নাম এর্নাজি ড্রিংকস। বাহারী নামে বাহারী বোতলে বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন এসব এনার্জি ড্রিংকস। শহরের সবখানে ছেয়ে গেছে মাদকের উপাদান মিশ্রিত এসব এনার্জি ড্রিংকস। শহরের আদালত পাড়া, লালদীঘির পাড়, পানবাজার, বাজার ঘাটা, কলাতলী বাজার, হোটেল মোটেল জোনসহ ফুতপাটে ছোট ছোট টেবিল নিয়ে কিছু অসাধু লোক এই অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রয় করছে।
এছাড়াও হোটেল মোটেল জোনসহ শহরের বিভিন্ন ফার্মেসী, মুদি দোকান, ফাস্ট ফুডের দোকান ও পানের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে ফিলিংস, ড্রাগন, কিং ফিসার, হট ফিলিংস, জিনসিং, জিনসিং প্লাস, হর্স ফিলিংস, জিনজেন (শরবতে জিনসিং), মাশরুম, ইকলিপ, ভায়াগ্রাসহ নানা ব্র্যান্ডের বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন বিভিন্ন রকমের এসব ভুয়া, ক্ষতিকর ঔষধ ও এনার্জি ড্রিংকস বিক্রি হচ্ছে।
উঠতি বয়সের যুুবকেরা এগুলো কিনছে দেদারছে। কিন্তু প্রকাশ্য শহরের বিভিন্ন দোকানে এসব বিক্রি হলেও এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোন অভিযান নেই।
সরজমিনে দেখা গেছে, মুদি দোকান, পানের দোকান, জেনারেল ষ্টোর, কনফেকশনারি ও ফার্মেসীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত অন্যান্য পাণীয়র সঙ্গে সাজানো আছে এসব এর্নাজি ড্রিংকস ও ঔষুধ। এসব এনার্জি ড্রিংকের গায়ে লেখা আছে মিক্সড ফ্রুড ড্রিংকস। শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।
বাজারঘাটার এক দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাদকাসক্ত যুবকরাই এসব ড্রিংকস বেশী কিনছে। এগুলোর প্রতিটির দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবনকারীরা জানা যায়, এগুলি সেবনের পর শরীরে বিশেষ অনভুতি সহ যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় বাজারে প্রচলিত বেশ কয়েকটি এনার্জি ড্রিংকে মাদকের ভয়ংকর উপাদান পাওয়া গেছে যা আগামীতে তরুন প্রজম্মকে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।