শিরোনাম

কমলনগরের চরকাদিরায় এবারো ভোটারদের নজর হাতপাখার দিকে

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর )প্রতিনিধি

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে ইউনিয়নটির ৯ টি ওয়ার্ডের গ্রামে-গঞ্জে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটার ও প্রার্থীরা।এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এবারো প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী,দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর।অন্যদিকে নৌকা প্রতিক নিয়ে ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাগর,স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন হাওলাদার,ইব্রাহিম বাবুল মোল্লা ও মহিন হাওলাদার লড়াই করছেন।

ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মী ছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহর ব্যক্তিগত ইমেজে ব্যাপক জনপ্রিয়তায় শক্ত অবস্থান রয়েছে তিনি । দলমত নির্বেশেষে বর্তমান চেয়ারম্যানকে সর্বশ্রেণীর মানুষ একজন মোখলেছ, নিরহংকার ও নির্ভেজাল মানুষ হিসেবে তাকে প্রচুর মহব্বত করেন।এলাকার নারী পুরুষ সহ সব ধরনের মানুষের নিরাপদ জায়গার নাম আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ।তিনি দুর্নীতিমুক্ত একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান।মুরুব্বি আলেম হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসনীয় একজন ব্যাক্তি। তার জনসমর্থন এখনো ঐ এলাকায় সবার শীর্ষে রয়েছে।এই ইউনিয়নে বিগত নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন রাজুকে পরাজিত করে ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হন।

বিগত ৫ বছরে হাতপাখার এই চেয়ারম্যান জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে চরকাদিরা ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। সরকারী সকল বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্টন,এলাকার রাস্তাঘাট পোল কালভার্টের উন্নয়ন সহ চরকাদিরা ইউনিয়নকে একটি সেবাধর্মী ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।তাছাড়া একসময়ের অশান্ত চরকাদিরা ইউনিয়নকে শান্তি প্রিয় ইউনিয়নে রুপান্তরিত করছেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। চরকাদিরা ইউনিয়নে বিগত ৫ বছরে সবধরনের মারামারি, হানাহানি,খুনখারাবি,রাহাজানি,চিন্তাই,চুরি ডাকাতি নেই বলে চলে। হয়রানি মুক্ত একটি ইউনিয়নের নাম চরকাদিরা ইউনিয়ন।চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহর ৫ বছরের শাসনামলে চরকাদিরা ইউনিয়নে দলবাজ,অস্ত্রবাজ,সন্ত্রাসবাজ,চাঁদাবাজ,টেন্ডারবাজী, চুরি-ডাকাতি সহ দালালমুক্ত একটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করছেন তিনি।

এতে চরকাদিরা ইউনিয়নের সর্বশ্রেণীর মানুষ ও ভোটাররা এবারো মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ কে চেয়ারম্যান হিসেবে চাচ্ছেন।তিনি একজন আল্লাহওয়ালা ইমানদার ও নির্ভেজাল মানুষ। তার আমলে ইউনিয়নের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করেছেন।অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাদের অধিকার নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে জীবন যাবন করছেন। ক্ষমতাশীন দলের লোকজন সহ সবাই নিরাপদে বসবাস করছেন। কোন ব্যাক্তি ও দলের উপর কোন প্রকার অবিচার করা হয়নি।তার ৫ বছরের উন্নয়ন অন্য চেয়ারম্যানদের ২০ বছরের উন্নয়নের সমান বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

ভোটাররা জানান এবারের নির্বাচনে কথিত নব্য যোগদানকারী নৌকার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।তোরাবগন্জ ইউনিয়নের নাসির নামের এক ব্যক্তি ও আলেকজান্ডার এলাকার বাসিন্দা আওয়ামীলীগে নব্য যোগদানকারী এক সময়ের জেএসডি নেতা শরীফ উকিলের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া-বহিরাগত-অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসী এনে ভোটারদের নানা হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।ভাড়াটিয়া এসব বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা,গোপন বৈঠক ও উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্যে চরকাদিরা ইউনিয়নে নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।যে কোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন-ভোটার ও এলাকাবাসী।

তবে সাধারণ মানুষ ও আলেম ওলামারা অক্যবদ্ব্য হয়েছে।নির্বাচনে কোন প্রকার মারামারি-হানাহানি ও কারচুপি করা হলে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

চরকাদিরা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে,হাতপাখার কর্মী সমর্থকদের পকেটে কাঁপনের কাপড়।তারা এ নির্বাচনে কোমরবেঁধে মাঠে নেমেছেন।নির্বাচনে কেন্দ্র দখল-ভোট ডাকাতির চেষ্টা করা হলে তা কঠোর হস্তে দমন করবেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী ও আলেম ওলামারা।
সবধরনের প্রস্তুতি সম্পুর্ন করছেন হাতপাখার কর্মীরা। নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টি করলে পাল্টা আঘাত করার প্রস্তুতিও গ্রহন করছেন তারা।এবারের নির্বাচনে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ।

অন্যদিকে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও শক্ত অবস্থানে রয়েছে।নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হলে সাথে সাথে প্রশাসন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত কঠোর হবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে উপজেলা প্রশাসন সবধরনের প্রস্তুতি সম্পুর্ন করেছেন।

জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কাছে ভোটারদের দাবী,একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য। সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারলে হাতপাখার বিজয় সুনিশ্চিত।কোন প্রকার নয়ছয় করা হলে চরকাদিরা ইউনিয়নে রক্তপাতের আশংকা ভোটারদের।

এব্যাপারে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন,আমি ৫ বছর চরকাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আমার এলাকায় কোন মানুষ বলতে পারবেনা যে,আমি কোন মানুষের ক্ষতি করেছি।আর উন্নয়নের চিত্র আপনারা ঘুরে দেখেন।কোন প্রকার দুর্নীতি আমি করিনি।এখনো অনেক কাজ বাকী আছে।আমি যদি আবারো নির্বাচিত হতে পারি,তাহলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো ইনশাআল্লাহ।এবং চরকাদিরা ইউনিয়ন হবে সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে কোন প্রকার দলবাজি, চাঁদাবাজি,অস্ত্রবাজী,সন্ত্রাসী,দুর্নীতি-দুঃশাসন,হামলা- মামলা -নির্যাতন,নিপিড়ন চলবেনা।মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে।আশাকরি লক্ষ্মীপুর জেলা-উপজেলা প্রশাসন একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন :