শিরোনাম

কমলনগরে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় দলীয় কর্মকাণ্ড স্থবির, পদ পেতে দৌড় ঝাঁপ

আমানত উল্যাহ,রামগতি-কমলনগর প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি প্রায় ১ বছর ধরে নেই। এতে দলীয় কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। এদিকে নতুন কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য অন্তত ১০/১৫ জন নেতা-কর্মী দৌড়-ঝাঁপ করছেন।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সম্মেলন করা হয়। ওই সম্মেলনে রাকিব হোসেন সোহেলকে আহবায়ক ও আসাদ বিন হাবিবকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি করা হয়।তিন মাসের আহবায়ক কমিটি এক বছর অতিবাহিত হলেও নতুন পুর্নাঙ্গ কমিটি তারা করতে পারেনি।

এক বছর অতিবাহিত হলেও নতুন কমিটি না হওয়ায় ছাত্রলীগ যেন অভিবাবক হারা হয়ে পড়েছে।আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি হওয়ার এক বছর অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত কোন কমিটি দেওয়া হয়নি। তবে উপজেলার একমাত্র সরকারি উপকূল কলেজ শাখার বর্তমান কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন রনি,সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ তুশারের নেতৃত্বে কাজ চলছে বেশ ভালভাবেই। কলেজ শাখার কমিটি নিয়ে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া নেই তৃণমুলের নেতাদের।

উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হ য ব র ল অবস্থার কারনে এর প্রভাব পড়েছে নয়টি ইউনিয়ন কমিটিতে।এতে স্ব-স্ব ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি গুলোও মেয়াদ উত্তীর্ণ । অন্যদিকে কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেতে দৌড় ঝাঁপ করছেন অনেকেই।সভাপতি পদে রাকিব হোসেন সোহেল,তানজুর রহমান রুবেল,আমজাদ হোসেন ডন,হারুনুর রশিদ চৌধুরী, আসাদ বিন হাবিব ও সাধারন সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন লোটাস,আজাদ উদ্দীন বাঘা,রুমেল,আফসার হোসেন হিমেল, শাহ আরমান আহমেদ রুমেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলতাফ হোসেন সুমন প্রমূখ।কমলনগর উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তান্জুর রহমান রুবেল বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে ছাত্রলীগের সেন্ট্রাল কমিটি সহ সকল কমিটির কাজ আপাদত বন্দ রেখে আমরা জনগনের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন কমিটিতে আমি সভাপতি প্রার্থী।

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভাষ্যমতে, ছাত্রলীগ এখন হযবরল অবস্থায় আছে। কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি নেই। জেলা ছাত্রলীগের কয়েক জন সিনিয়র নেতা চাইছেন সম্মেলন না করে তাঁদের পছন্দের লোক দিয়ে পকেট কমিটি করতে। একবছর ধরে কর্মীরা কমিটির জন্য ঘুরলেও রহস্যজনক কারণে জেলা ছাত্রলীগ কমিটি দিচ্ছেনা।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী রাকিব হোসেন সোহেল বলেন দীর্ঘ বছর ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। দলের জন্য আরও বেশি কাজ করতে সভাপতি পদে প্রার্থী আমি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আজাদ বাঘা বলেন ছাত্রলীগের কমিটি দিলে দল আরও গতিশীল ও নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। আমরা কমিটির জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

উপজেলা ছাত্রলীগের ছয়জন কর্মী জানান, প্রায় এক বছর ধরে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় দলীয় কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।

একবছর ধরে নতুন কমিটি না দেওয়ার কারণ জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান বলেন কমলনগরে ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ,আর উপকূল কলেজ শাখা কমিটি দেওয়া হয়েছে।কেন্দ্রীয় নেতারা সময় দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যখন অনুমতি দিবেন তখনই আমরা কমিটি দিতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন :