আমানত উল্যাহ,রামগতি-কমলনগরঃ
বাবা-মা হারা ৩০ বছর বয়সী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার প্রতিবন্ধী জরিনার ভাগ্যে জোটেনি এখনও প্রতিবন্ধী ভাতা। এছাড়া শারীরিক নানা সমস্যা থাকায় পড়ে থাকতে হচ্ছে পরিত্যক্ত একটি ঝুপড়িওয়ালা ঘরে।
গ্রামীন সড়কের পাশে ঐ ঝুপড়িতে রাত্রি যাপন করাটাও রীতিমত চরম আতঙ্কের। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরলরেঞ্চ গ্রামের প্রতিবন্ধী জরিনা।বাবা- মা মারা যায় দশ বছর আগে। একমাত্র ভাই জেলে নুর করিম দেখভাল করে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী জরিনাকে।
এরই মধ্যে নদীভাঙার কবলে পড়ে বসতভিটা হারিয়ে চরলরেঞ্চ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ভক্তপাড়া সংলগ্ন ছোট মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়ির মালিক মানবিক দিক বিবেচনায় থাকার সুযোগ করে দেন। প্রতিবন্ধী জরিনার বড় ভাই নুর করিম জানায়,নদী ভিটে-মাটি কেড়ে নিয়ে তাদের করেছে নিঃস্ব সর্বহারা। পরের যায়গায় ঠাঁই পেয়ে বসবাস করছি, বোনটা প্রতিবন্ধী তার উপর শারীরিক নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে।
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, আমাদের খবর কেউ রাখেনা। শুনেছি সরকার অসহায়দের ঘর বানিয়ে দিচ্ছে, প্রতিবন্ধীদের ভাতা দিচ্ছে।কিন্তুু আমাদের মত অসহায়ের খবর কেউ রাখেনা। প্রতিবন্ধী বোন জরিনার প্রতিবন্ধী ভাতা ও একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে সরকার সহ দায়িত্বশীলদের প্রতি মানবিক আবেদন জানান ভাই নুর করিম।
সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিলেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা টাকার বিনিময় সচ্ছল ব্যাক্তিদের নাম দিচ্ছে।
এ বিষয়ে চরলরেন্স ইউপি চেয়ারম্যান ও কমলনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক এ. এইচ. এম. আহসান উল্লাহ হিরন বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি প্রদত্ত সাংবিধানিক ও আইনগত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করছে সরকার- দুঃস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় এনে প্রকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতার আওতায় আসা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার। তবে জরিনার বিষয়ে এর আগে কেউ তাকে জানাননি বলে জানান তিনি। জরিনা ও তার পরিবারের বিষয় খোজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান এই চেয়ারম্যান।