আমানত উল্যাহ,কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের হাট-বাজারগুলোতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শাকসবজির দাম।শীত মৌসুমের এ সময়ে বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাজারে এখন দুই থেকে তিনগুণ বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজি।টানা বৃষ্টিতে শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সহ পাইকারী বাজারে মূল্যবৃদ্বির অজুহাত দেখিয়ে কাঁচামাল বিক্রিতারা ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন।এতে চরম বেকায়দায় পড়ছে ক্রেতারা।তাদের অভিযোগ হাট-বাজারগুলোতে কমলনগর উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো শাকসবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।সরেজমিনে উপজেলার হাজিরহাট, চরলরেন্স, তোরাবগন্জ,করইতলা, ফজুমিয়ারহাট, করুনানগর সহ বিভিন্ন হাটবাজার গুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০-২০০ টাকা, পেয়াজ ৮০-১০০,আলো ৪৫-৬০,বেগুন ৬০-৮০,মুলা ৫০-৬০, মিষ্টি কুমড়া ৬০-৮০,লাউ ৩০-৪০,পেপে ৩০-৪০, ঢেঁড়শ ৬০-৮০,কচু ৪০-৫০,টমেটু ১০০-১২০,সিম ৮০ ১০০, ফুলকপি ১০০-১২০,শসা ৫০-৭০ ও লালশাক ৫০-৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসময় ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাযায়,গত কয়েকদিন ধরে বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে শাকসবজির দাম বেড়েই চলছে।তিন চার সাপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে শাকসবজির দাম এতোই বেড়ে গেছে যে,মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে সবজির বাজার। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কমলনগর উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় সবজির বাজার এখন লাগামহীন হয়ে পড়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইতকারুল ইসলাম জানান, কয়েকদফা টানা বৃষ্টি ও ঝড় জলোচ্ছ্বাসের কারনে উপজেলার ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে স্হানীয় ভাবে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে শাকসবজির দামের উপর এর প্রভাব পড়েছে।কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ভাবে অতিরিক্ত মূল্যে ও শাকসবজি সহ নিত্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ আসছে।এই সব পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হাট-বাজারগুলোতে শিঘ্রই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন :