আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি: নভেল করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় মহান আল্লাহু তায়ালার দরবারে নামাজ পড়ে দু’হাত তুলে দোয়া করার জন্য লৌহজংয়ে মসজিদগুলোতে প্রচুর লোকজনের সমাগম ঘটছে।
তাতে দ্বীনের মারকাজে পরিণত হয়েছে মসজিদ নামক আল্লাহর ঘরগুলো। সরকারি আইন অমান্য করে অত্র উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে কোন কোন চায়ের ও মুদির দোকানদারগণ পেটের তাগিদে পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেলে ক্রেতার আশায় বারবার দোকান খোলে ও বন্ধ করার প্রতিযোগিতা শুরু করেছে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গোটা লৌহজংয়ের বাজারগুলোতে লোকজনের সমাগম অহরহ ঘটছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। মালির অংক বাজারে সবচেয়ে বেশী লোকজনের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে ও এখানে অনেক দোকান খোলা থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে আশে পাশের এলাকায় বিদেশ ফেরত কেউ এলো কিনা উৎসুক লোকজন বাজারে এসে একে অপরের নিকট জানতে ব্যকুল হয়ে ওঠছে। এতে ভীড় জমে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে গোটা লৌহজংয়ের লোকজন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, লৌহজংয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে পদ্মা নদীতে ১৫ বছর যাবৎ জেগে ওঠা চরে কয়েক হাজার লোকজনের বসবাস। এরা অধিকাংশই জেলে। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ মৌসুমে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে কেউ কেউ উপযুক্ত সন্তানকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন।
নভেল করোনার কারণে বিদেশগামী তাদের আদরের অনেক সন্তান এখন বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে। এসব খবরাখবর চা – মুদির দোকানের টক অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। কনকসার বাজারের ভিতরের চায়ের দোকানে লোকজনের ছবি তুলতে গেলে আ দৌড়ে চলে যায়। পরে চায়ের দোকানে দন্ডায়মান ক্রেতা সহ দোকানদারের ছবি তুলে পত্রিকা অফিসে সংবাদ সহ পাঠান।
নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সহযোগীতার পাশাপাশি করোনার ঝুঁকি এড়াতে বতর্মান সরকারের আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা ছোট যানবাহনে মাওয়া ঘাটে এসে চুপিসারে ওপারের উদ্দেশ্যে ছাড়া সীবোটে অধিক ভাড়া দিয়ে পার হয়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।