প্রথমে আমাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে আমাকে আলাদাভাবে কিছু জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেয়। এবং বলে দেন ” আমরা বদরুল কে রেখে দিচ্ছি আপনি সাভার চলে যান, এবং মনে রাখবেন এ বিষয়টি জেনো কোথাও শেয়ার না হয়।
ওলামা ডেস্ক: জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের পরিচালক বদরুজ্জামানকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। আজ বুধবার রাত ১০ টার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ভাইরাল হয়।
জামিয়া রাহমানিয়া মোহাম্মদপুর এর মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক এ সম্পর্কে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। সে স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্য করেন কলরবের কিশোর শিল্পী মাহফুজ আলম। তিনি স্বীকার করেন যে, বদরুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সত্য।
পরে মেসেঞ্জারে মাহফুজ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এশার সময় বাহির থেকেই ওনাকে নিয়ে গেছে। অফিসে এসে অফিসের পিছি, সিসিটিভির হার্ডিক্সসহ তাওহীদ জামিলকেও নিয়ে গেছে। অফিস তালা দিয়ে রেখে গেছে তারা।
এ বিষয়ে কলরবের সিনিয়র শিল্পী আবু রায়হান’র সঙ্গে দৈনিক ওলামা কন্ঠ’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- আমি এবং সাইদ ভাই একটি প্রোগ্রামে এসেছিলাম। এ প্রোগ্রামে থাকা অবস্থায়ই জানতে পারি যে, বদরুজ্জামানকে পল্টন থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।
মাহফুজুর রহমান জাবের নামের আরেকজন ফেসবুক পোস্টে জানান আমি এবং বদরুজ্জামান ভাই একসাথে ছিলাম। মাহফিল ছিল সাভার-ধামরাই। শহীদ মিনার পার হচ্ছিলাম, এমতাবস্থায় ডিবি ফোন দিয়ে আমাদেরকে তাদের অফিসে ১০ মিনিটের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
প্রথমে আমাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে আমাকে আলাদাভাবে কিছু জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেয়। এবং বলে দেন ” আমরা বদরুল কে রেখে দিচ্ছি আপনি সাভার চলে যান, এবং মনে রাখবেন এ বিষয়টি জেনো কোথাও শেয়ার না হয়।
তারা এসে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়েছে। তাদের গাড়িতেও ডিবি পুলিশ লেখা ছিল। তারা বলে গেছেন যে, আপাতত আমরা অবজার্ভ করব। বদরুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অবজার্ভ শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনারা আপনাদের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখুন।”
কলরবের সাহিত্য ও আবৃত্তি পরিচালক ইলিয়াস হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান- “সত্যিই তাকে নিয়ে গেছে, আমাদের পিসি এবং সিসি ক্যামেরা নিয়ে গেছে। অফিস তালা। খুব ভয়ে আছি।