শিরোনাম

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন : মুফতী ফয়জুল করীম

 

ওলামা ডেস্কঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা সময়ের অনিবার্য দাবিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, কাদিয়ানী তথা আহমদিয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীরা কাফের। তারা নিজিদেরকে মুসলমান পরিচয় দিলেও তারা মুসলমান নয়। আহমদিয়া মুসলিম জামাত নামধারীরা মহানবী সা.কে শেষ নবী মানে না, তাই তারা কাফের। এতে কারো সন্দেহ থাকতে পারবে না। কাদিয়ানীরা যে আকীদা-বিশ্বাস মেনে চলে তা বিশ্বাস করলে কেউ মুসলিম থাকতে পারে না। অথচ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে কাদিয়ানীরা মুসলিম পরিচয়ে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে বহু সরলপ্রাণ মানুষ ঈমানহারা হচ্ছে। তাই ঈমানের তাগিদেই ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকগণ কাদিয়ানীদের এহেন ঈমান বিদ্বেষী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই অবিলম্বে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে এবং মাদরাসায় হামলার বিচার করতে হবে। অন্যথায় নবীর দুশমন কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম তথা সঙখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কাদিয়ানীরা এদেশ থেকে চলে যাক এটা নয়, তারা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মত এখানেও অমুসলিম হিসিবে বসবাস করবে, তাতে কারো আপত্তি নেই।

আজ দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, দক্ষিণ মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকসহ ওলামায়ে কেরাম।

অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বইমেলায় ইসকনকে স্টল বরাদ্ধ দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ তথা ‘ইসকন’কে অমর একুশে বইমেলায় স্টল বরদ্দ দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

এক বিবৃতিতে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ইসকন বিশ্ব পরিসরে আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদের প্রসার ঘটাচ্ছে। এই ফ্যাসিবাদী ধর্মবাদের একটা প্রত্যক্ষ ফসল ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া নতুন নাগরিকত্ব আইন। এই আইনের বিপক্ষে সেখানে এমনকি সেক্যুলার শক্তিও বিক্ষোভ করছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পরিসরে রহস্যজনকভাবে ইসকনকে কাছে টেনে নেয়া ভারতের কোটি কোটি আন্দোলনকারীর সঙ্গেও একরূপ বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এবং বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের বিস্তারে পরোক্ষ স্বীকৃতি ও সহযোগিতা দেয়ার নামান্তর।

ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম মেয়াদ থেকেই আমরা দেখে আসছি দু’একটা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাংলা একাডেমিতে ইসলামী প্রকাশকদের অংশগ্রহণ অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া ব্যাপক পাঠক চাহিদা থাকায় যেসব স্টল ইসলামী বই-পুস্তক বিক্রি করতে চায়, তাদেরকেও নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। অথচ উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রচার-প্রসারে জড়িত একটা বিতর্কিত সংগঠনকে মেলায় জায়গা করে দিতে সরকার এতটা দরদী হয়ে উঠল কেন, এমন প্রশ্ন সামনে এসেছে।

তিনি বলেন, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির অপবাদ দিয়ে চাতুর্যের সাথে ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও চেতনাবোধ উৎখাতের জোর চেষ্টা চললেও ইসকনকে বিতর্কিত আন্তর্জাতিক হিন্দুত্ববাদি সংগঠন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জনমনে ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে ঘোরতর সংশয় তৈরি হয়েছে। বহু সংগঠনের পক্ষ থেকে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের জোর দাবিও বার বার তোলা হচ্ছে। অবিলম্বে ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে এবং স্টল বরাদ্দ বাতিল করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন :