শিরোনাম

কিয়ামতের আলামত

আ.সা. আবু তালেব ঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন কোরবানির গরু – ছাগলের হাটে পুরুষ ক্রেতাদের পাশাপাশি এবার মহিলা ক্রেতাদের ভীড় ছিল। আলেম – ওলামাগণ কোরবানির জন্য গরু -ছাগল ক্রয় করতে এসে এসব দৃশ্য দেখে হয়েছেন দূঃখিত ও লজ্জিত। জানিয়েছেন, ” কোরবানির গরু – ছাগলের হাটে মহিলাদের বেপর্দায় ক্রেতা হয়ে আসা কিয়ামতের আলামত “।

এছাড়া কোথাও কোথাও ঈমাম এবং মুয়াজ্জিন গরু – ছাগল জবাই দেওয়ার পর কোরবানি দেওয়া ব্যক্তিদের থেকে পায়নি কোন মজুরী। কেউ কেউ মনে করেন ঈমাম ও মুয়াজ্জিন মসজিদের বেতন ভুক্ত কর্মচারী। গরু – ছাগল জবাই করার পর কেন টাকা দেব?

এমন ঘটনা ঘটেছে লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজারস্থ উত্তর মশদগাঁও জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা জমির উদ্দিন ও মুয়াজ্জিন হাফেজ রাকিবুল হাসান গরু ছাগল জবাই দেওয়ার পর তাদের খুশি না করেই (টাকা নাদিয়ে) চুপ থাকলো।

আবার বিভিন্ন এলাকায় নামাজ পড়ানোর যোগ্য ব্যক্তি থাকলেও মসজিদ কমিটি ঈমাম কিংবা মুয়াজ্জিনকে এই মূহুর্তে বেতনের টাকা হাতে নেই উছিলায় ঈদের দিন ছুটি দেয়না। ফলে, অধিকাংশ ঈমাম মুয়াজ্জিনের মনে চাপা দূঃখ তুষের আগুনের মতোই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে।

দূঃখজনক হলেও সত্যিই মিলাদ না পড়া অথবা কেয়াম না করার অভিযোগে কেউ কেউ এলাকার কোরবানির পশু ঈমাম – মুয়াজ্জিনের পরিবর্তে বাজার থেকে কসাই এনে জবাই দিয়েছে। মসজিদে ঈমামের পিছনে নামাজ আদায় করতে পারলে কেন ঈমাম – মুয়াজ্জিন দিয়ে কোরবানির পশু জবাই দেওয়া যাবেনা তা ইসলাম প্রিয় মুসলমানদের ভাবিয়ে তোলেছে। তাদের হক্ব নষ্ট করা নিঃসন্দেহে মানবতা বিরোধী এ কথা তারা মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন :