সমাজ পরিবর্তনের শর্ত ৪ চারটি। এক. যোগ্য ও খোদাভিরু নেতা, দুই. যুগ-উপোযোগী পরিকল্পনা ও কর্মসূচি, তিন. যোগ্য ও ত্যাগী দায়িত্বশীল বাহিনী, চার. অন ফাষ্ট ৩৩% সমর্থন। যারা এ চার শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারবে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো বিবেকবান ব্যাক্তি মানব রচিত আইন মেনে নিতে পারেনা, যে সংবিধানে কুফুরী শিখায় সে সংবিধান দেশে শান্তি দিতে পারে না। আল্লাহর জমিনে তাঁর দেওয়া সংবিধান কুরআন ও হাদিসের আইন চলবে। দেশের সংবিধান ১৭ বার পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু কুরআনের সংবিধান পরিবর্তন কাহারো শক্তি নেই। তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্ততাব্যে ইসলামী আন্দোলন’র কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি দেলোয়ার হোসেন (সাকী) এ সব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বন্দর থানা শাখা কর্তৃক আয়োজিত আজ (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯ইং) শুক্রবার ১০টায় তারবিয়াত অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর থানা সভাপতি মো: হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এস এম হুমায়ুন কবির, মো: রফিকুল ইসলাম মাসুদ, কে. এম. নুহু হোসাইন, মো: ইয়াছিন আরাফাত, মো: মামুন রাশেদ, মাও. আল- আমিন, মো: সেলীম হোসাইন, মো: ফরহাদ হোসেন, মো: রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
মুফতি সাকী বলেন, “৭০ বছর ধরে ইসলামীক সংগঠনের নাম দিয়ে ইসলামী রাজনীতি করে দেশের সমাজ ব্যাবস্থার কোনো কিছু করতে পারেনি। তাদের রাজনীতি করার যোগ্যতা আছে তবে খোদাভিরুতার অভাব ছিল।
তিনি বলেন, “সমাজ পরিবর্তনের শর্ত ৪ চারটি। এক. যোগ্য ও খোদাভিরু নেতা, দুই. যুগ-উপোযোগী পরিকল্পনা ও কর্মসূচি, তিন. যোগ্য ও ত্যাগী দায়িত্বশীল বাহিনী, চার. অন ফাষ্ট ৩৩% সমর্থন। যারা এ চার শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারবে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে।”
তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমীর মুফতি রেজাউল পীর সাহেব চরমোনাইর ৪ শর্ত পুরোটাই আছে, তিনি খোদাভিরু ও সংগঠন- যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সারা বাংলাদেশে সাংগঠনিক ভাবে ও জনসমর্থন হিসেবে সু-সংগঠিত আছে। ভোটের বাজারেও এগিয়ে আছে দলটি।”
তিনি আরও বলেন, “অন্য ইসলামী দলের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের দল আছে নেতারাও যোগ্য সম্পন্ন কিন্তু খোদাভিরুতা নেই। কর্মসূচি, জন সমর্থন, কর্মিবাহিনী কিংবা কমিটিও নেই তৃনমূলে। তাদের দ্বারা ইসলামী হুকুমাতের আশা করা যায় না। বর্তমান সরকার বা বিরধীদলীয় যারা আছেন, তাদের শক্তি বেশী থাকলেও ৪ চার শর্ত গ্রহন করলে দেশ ইসলামী সংবিধানের আইনে আনা সম্ভব হবে।”