শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনাঃ খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কিছু সময় পরই এই ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন তাৎক্ষনিক ভাবে খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ওই দলীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, মাগরিবের নামাজের আগে শিরোমণি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন ও দলের নেতৃবৃন্দ অবস্থান করছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছু সময় পর কার্যালয়ের মধ্যে হঠৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কার্যালয়ের মধ্যে থাকা চেয়ার, টেবিল দুমড়ে-মুচড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘটনাস্থলে বিয়ারিং এর টুকরা, স্পাইটের বোতল ও তারসহ কিছু আলামত দেখা যায়।
দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে অবস্থান করা শিরোমণি উত্তরপাড়ার গজী বিল্লাল হোসেনের পুত্র সুমন জানান, ‘প্যান্ট পরিহিত মধ্য বয়েসি এক ব্যাক্তি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে একটি ব্যাগ রেখে চলে যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসা করি ব্যাগের মধ্যে কি আছে। তিনি কলা আছে বলে টয়লেট করার কথা বলে চলে যাওয়ার কিছু সময় পরে এই বিষ্ফারণের ঘটনা ঘটে’। সুমন জানায় ব্যাগের মধ্যে বিস্ফোরন জাতীয় কিছু রেখে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বলেন, আমি দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে এই ঘটনার খবর শুনি।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) তদন্ত মো. কবির হোসেন জানান, এঘটনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত দেখে প্রাথমিক ভাবে ককটেল জাতীয় কিছু বিষ্ফোরণ বলে ধারনা করা যাচ্ছে। তবে বোমা ডিষ্পোজাল ইউনিট বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরিষ্কার করে জানাতে পারবে।
পুলিশের একাধিক সুত্র বলছে ককটেল জাতীয় একটি বিস্ফোরন ঘটেছে এবং এ জাতীয় আরো একটি কার্যালয়ের মধ্যে রয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বোমা বিশেষজ্ঞ ইউনিট কার্যালয়টি ঘিরে রেখেছিলো।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো তাৎক্ষনিক ভাবে খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এর পরপরই খবর পেয়ে কেএমপি পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত কমিশনার এস এস ফজলুর রহমান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন।