শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ এ তিন উপজেলার ২০টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম। তবে পুরো ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
উপকূলীয় খুলনা জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটাকে ধরা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়রা । কয়রা উপজেলাটির চারপাশ নদী বেষ্টিত।
এখানে বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৫৫ কিলোমিটারের মতো। এর আগে আইলা, সিডর, বুলবুল ও আম্পানে উপজেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়। আইলার পর কিছু কিছু এলাকা ৫ বছরের মতো সাগরের লোনা পানিতে তলিয়ে ছিল। গত বছরের আম্পানে কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফের এ বছরে চারটি ইউনিয়নে অন্তত ১১টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে, এমন স্থানের সংখ্যা আরও ১৭ ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কয়রা নদীর ১৩-১৪/২ নম্বর বাঁধ জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে গেলে প্লাবিত হয় মঠবাড়ি এলাকা। বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৪ কিলোমিটারের মতো বাঁধ ভেঙে গেছে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া নদীর আংটিহারা, বীণাপানি এলাকা, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের একই নদীর গাতিরঘেরি, পদ্মপুকুর এলাকা, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কয়রা নদীর তেঁতুলতলা, চৌকনি, শিংয়ের চর এলাকা, মহারাজপুর ইউনিয়নের কয়রা নদীর পবনা ও মঠবাড়ি এলাকা এবং কপোতাক্ষ নদের দশালিয়া এলাকার বাঁধ ভেঙে গেছে।
পাইকগাছা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৭ টি স্থানের বাঁধ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ২৫ কিলোমিটার ও ভেসে গেছে ১০০ মিটার বাঁধ। এতে ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা ভেঙ্গে যায়, কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ২০ কিলোমিটার। ১ হেক্টর ফসলি জমি ও ৬শ’৬০ হেক্টর চিংড়ি ঘের। পাইকগাছায় ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
দাকোপ উপজেলায় তীলডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনার বাংলা কলেজের পাশের সুইসগেট এলাকার বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া ১০ থেকে ১২টি স্থান বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, দাকোপ ও পাইকগাছা নিয়ে ৯ স্থানে ভাঙ্গছে বাঁধ। তবে কয়রা সাতক্ষীরা পাউবোর আওতাধীন।