শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ
নভেল করোনা ভাইরাসের ছোবলে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। প্রভাব ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন করা হয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও তৈরি হয়েছে অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতি। খুলনাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে খুলনা মেডিকেল কলেজে গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১ টায় খুমেকের চিকিৎসকদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে বিমান বাহিনীর মাধ্যমে হেলিকপ্টারে করে ৫০০ পিপিই পাঠানো হয়েছে ঢাকা থেকে। খুলনার বিএনএসবিতে নেমে বিমান বাহিনীর সদস্যরা খুমেক কর্তৃপক্ষের নিকট সেই পিপিই হস্তান্তর করে।
এদিকে নিস্তব্ধ রাতে আকাশে হঠাৎ হেলিকপ্টার আসায় গুজবের ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ লিখছেন রাতে হেলিকপ্টার থেকে শহরে জীবাণুনাশক ছড়ানো হবে। আবার অনেকে লিখছেন হয়তো করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীকে ঢাকায় নিতে রাতে হেলিকপ্টার এসেছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘একটা নিউজ বিভ্রান্তির কারণে ঢাকার সিএমএসডি মনে করেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিপিই নাই। তাই জরুরী ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে ৫০০ পিপিই পাঠিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ শহীদুল্লাহ।
হেলিকপ্টারটি খুলনার বিএনএসবি তে এসে পৌঁছায়। আমি নিজেই সেই পিপিই গ্রহণ করেছি। খুলনা মেডিকেল এ বর্তমানে মোট ৪২০০ টি পিপিই মজুদ আছে। এই মুহূর্তে আমাদের তেমন কোনো ঘাটতি নাই। খুলনায় করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল একটা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে খুলনায় দশটি আইসিইউ বেডসহ ১০০ টি বেড প্রস্তুত আছে।‘