নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রান্ড মাঠে ৩ দিন ব্যাপী মাহফিল অামীরুল মুজাহীদিন অালহাজ্ব মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাইর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে অাজ (৫ জানুয়ারী-২০) রবিবার সকাল ৯টায় শেষ হলো।
ঐতিহাসিক এ মাহফিল চরমোনাইর সৈয়দ মাওলানা ফজলুল করীম (রহ.)’র দরদ মাখা মধুর কন্ঠের বয়ানের মাধ্যমে ঐতিহাসিক জাম্বুরী মাঠে শুরু হয় ২০১০ ঈসায়ী সালে। ২০১০ ঈসায়ী সাল থেকে ২০১৬ ঈসায়ী সাল টানা ৭ বছর জাম্বুরী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সে মাঠ সরকারের বরাদ্দকৃত পার্কে নিয়ে যায়।
ফলে বিকল্প ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ২০১৭/২০১৮ ঈসায়ী সাল ও ২০২০ ঈসায়ী সাল এ বছর নিয়ে ৩ বছর অনুষ্ঠিত হয়। মাঝখানে ঐতিহাসিক জামিয়াতুল ফালা মাঠে ২০১৯ ঈসায়ী সালে ১ বছর অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরে চট্টগ্রামবাসীর বয়ে অানে এক ঈদের অানন্দ। যেখানে নেই কোন ভেদাভেদ শায়েখদের বয়ান শোনার ও অাল্লাহর ওলীদেরকে এক নজর দেখার জন্য সব সমসয় উৎসুক জনতার ভিড় থাকে। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মুসল্লিদের ইলাল্লাহ জিকিরের ধ্বনিতে পুরো মাঠ কম্পিত হয়। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের পদচারণ, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা ও অাইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি নজর পরার মত। স্থানীয় সুন্নী জনতাও অাগ্রহ ভরে তিন দিনের বয়ান মনোযোগী হয়ে শোনেন। এমন কি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও মাঠের পাশে বিভিন্ন স্থানে বসে মাহফিল শোনেন।
বিশেষ করে শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীমের জ্বালাময়ী বয়ান শোনার জন্য বিভিন্ন দলের লোক, ওলামায়েকেরাম ও মুসল্লিরা সবসময়ই কান সজাগ রাখেন।
মাহফিলটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পক্ষ থেকে। মাহফিলটি হুবহু চরমোনাইর বার্ষিক নমুনায় পরিচালিত হয় এবং তৃতীয় দিন থাকে ওলামা সম্মেলন। সে হিসেবে মাহফিলের তৃতীয় দিন ৩ তারিখে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ অাইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কর্তৃক ওলামা মাশায়েখ সুধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শুক্রবারে হাজার হাজার দেশ বরণ্য ওলামায় কেরাম, পীর মাশায়েখদের শুভঅাগমন ঘটেছিলো। ইতি মধ্যে প্রশাসন থেকে মাহফিলের অনুমোতিও পেয়েছেন বলে জানা যায়।
মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকবেন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি থাকবেন মুফতী সৈয়া মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।
যারা নছিহত পেশ করবেন: আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব, আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, আল্লামা মুহাম্মাদ ইদ্রীস সাহেব। আমন্ত্রিত ওলামা ও মাশায়েখে কেরাম থাকবেন যারা:
আল্লামা মুফতী শামসুদ্দিন জিয়া,
আল্লামা ড. আ. ফ. ম. খালেদ হোসাইন, আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা মুহাম্মদ আলী উসমান, আল্লামা ফরিদ আহমদ আনসারী, আল্লামা আজিজুল হক আল-মাদানী, মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়ব, আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, আল্লামা আনোয়ারুল হক আজহারী, মুফতী সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আল্লামা হাফেজ ইউনুছ আহমাদ, আল্লামা মাহমুদুল হোসাইন ওলিউল্লাহ,
আল্লামা মীর মুহাম্মদ কাশেম,
মাওলানা মুহাম্মাদ শফি উল্লাহ।
আমন্ত্রিত ওয়ায়িযীনে কেরাম যারা থাকবেন: নওমুসলিম ড. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ আজাদী, মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, মাওলানা মুফতী সাইদ আহমদ, মাওলানা হাবিবুর রহমান মিছবাহ, মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দেশের শীর্ষস্থানীয় বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখগণ তাশরিফ এনেছিলেন।
ব্যবস্থাপনায়: বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি জেলা। মহিলাদেরও অাদালা প্যান্ডেলে পর্দাসহ ওয়াজ শোনার ব্যবস্থার মাধ্যমে সুন্দর পরিবেশ করেছিলেন।