শিরোনাম

ছাত্রলীগ-যুবলীগের নৈরাজ্য দূর করতে আরেকটা যুদ্ধ করতে হবে: চট্টগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই

 

ওলামা ডেস্ক: ছাত্রলীগ-যুবলীগের নৈরাজ্য দূর করতে আরেকটা যুদ্ধ করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

আজ রোববার চট্টগ্রামের ঐতিকাসিহ লালদিঘী ময়দানে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, আজকে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা। ছাত্রদের মাঝে যেভাবে রক্ত পিপাসা তৈরি হয়েছে তাতে এদেশকে আর মানুষের দেশ বলা যায় না।

তিনি বলেন, বর্বর যুগে মানুষ যখন নিজের মেয়েকে জীবন্ত পুঁতে ফেলতো। নিজের সন্তানকে হত্যা করতে কুন্ঠাবোধ করতো না। এমন অসভ্য যুগে মানুষকে সভ্য করে গড়ে তুলতে আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.কে পাঠিয়েছিলেন। আজকে বাংলাদেশের যা অবস্থা সেটা বর্বর যুগকেও হার মানিয়েছে।

ইফা ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইফা ডিজি দুর্নীতির মামলা হয়েছে। ৩২ কোটি টাকা জমা দিয়ে মামলা থেকে অব্যহতি চাইছে। আমরা আগেই বলেছি ইফা ডিজি বেশ-ভূষার আড়ালে একজন নাস্তিক্যবাদী লালনকারী দুর্নীতিবাজ।

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, আজকের স্বাধীনতার ৪৭ বছর। যাদের নেতৃত্বে দেশ চলছিলো, চলছে। তাদেরকে বলতে চাই, সারাদেশে যে নৈরাজ্য কায়েম করা হয়েছে, মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠন করা হচ্ছে, মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, দুর্নীতির সম্রাজ্য কায়েম হচ্ছে; এসব নৈরাজ্য দূর করতে প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গালি দিলে বিচার হয় অথচ বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর বিরুদ্ধে কটূক্তি করলে তারন বিচার হয় না। বিচার চাইতে গেলে উল্টা মুসলামানদের বুকে নির্মমভাবে গুলি করা হয়। এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

ছাত্র আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম নগর সভাপতি রিদওয়ানুল হক শামসীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ।

ছাত্র সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম ওমর গণি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন, আইএবির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবাল, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আম্মা পরিষদের নির্বাহী সভাপতি: হা. মাও. মনসুরুল হক জিহাদী, সেক্রেটারী হা. মাও. শেখ আমজাদ হোসেন, দৈনিক ওলামা কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক: কে. এম. নূহু হোসাইন, মাও. মোসলেহ উদ্দিন সহ সতাধিক আলেম।

এছাড়াও বিশেষ বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আব্দুজ্জাহের আরেফী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, আলমগীর হুসাইন মাহমুদ, নূরুল বশর আজিজী ও চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর আওতাধীন বিভিন্ন জেলা ও সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি ও স্থানীয় বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন :