শিরোনাম

জামিনের পর আইনজীবীদের টানাটানিতে পড়ে গেলেন মির্জা ফখরুল

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের টানাটানিতে পড়ে গেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তাকে আবার টেনে তুলে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবীরা হাঁটতে চাইলে তিনি তাদের নিষেধ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের আমাকে ধরার প্রয়োজন নেই। আলাদা আলাদা হাঁটেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে হাইকোর্টের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে জামিন পাওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একত্রে বের হন। পরে কোর্টের পাশেই অবস্থিত সিঁড়ি দিয়ে মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দোতলায় উঠে যান। মির্জা আব্বাসকে আদালতের বারান্দা দিয়ে এগিয়ে দেয়ার জন্য আইনজীবীরা ধরাধরি করে হাঁটতে থাকেন। এর মধ্যে আইনজীবীরা দ্রুত হাঁটার সময় হুড়োহুড়ি আর টানাটানিতে মাটিতে বসে পড়েন ফখরুল। পরে তাকে টেনে তোলেন আইনজীবীরা। এরপর তিনি অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের গেট দিয়ে বের হয়ে যান।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, কর্তব্য কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা এবং নাশকতার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।

মির্জা ফখরুল ছাড়া অন্য নেতারা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আট সপ্তাহ সময়ের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে (নিম্ন আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলেন আদালত।

এর আগে দুপুরে তারা হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন। গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এরপর পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঘটনার পর ওইদিনই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপির মোট ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন :