নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সদস্যদের প্রত্যক্ষ গোপন ভোটে সম্পন্ন হল পৌর শহরের অন্যতম সামাজিক সংগঠন পশ্চিম নতুন বাহারছড়া সমাজ কল্যাণ সংঘের নির্বাচন।
গতকাল রবিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটার অধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। ১১ টি পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সকাল ৯ টায় সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান প্রথম ভোট প্রদান করেন।
সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তরুণ সমাজ সেবক সৈয়দ মোহাম্মদ আলীর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হারুন অর রশিদ, নির্বাচন কমিশনার-১ এড. মঈনুল হোসেন চৌধুরী ও শফিউল আলম বাঁশি।
উক্ত নির্বাচন চলাকালে পরিদর্শনে আসেন মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ উদ্দিন,কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র -২ হেলাল উদ্দিন কবির,প্যালেন মেয়র শাহেনা আক্তার পাখি, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, পৌর ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানে আলাম পুতু, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার সভাপতি দৈনিক আপন কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক এইচ.এম নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দরা সকলে অবাধ শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এবং একটি সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং মুক্ত করতে হলে সামাজিক সংগঠন গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সুষ্টু গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে যে নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে যাচ্ছে পশ্চিম নতুন বাহারছড়া সমাজ কল্যাণ সংঘে তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং সমাজের অবক্ষয় থেকে মুক্ত হবে একই সাথে গুজব সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে সমাজের নেতৃত্বে আসা সকলের প্রতি আহবান জানান।
সকাল থেকে ভোট প্রয়োগকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সদর মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক প্রদীব চন্দ্র দে এর নেতৃত্বে মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৯ টা থেকে ভোট প্রদান কার্যক্রম শুরু হলে সংগঠনের ২০২ জন ভোটারের মধ্যে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ১৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করেন। পরে ভোট গণনা শেষে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সৈয়দ মোহাম্মদ আলী নির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দরা হলেন, সভাপতি পদে চেয়ার প্রতীকে ফরিদ আলম ১৩৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে সোহেল ইসলাম পেয়েছেন ৬১ ভোট, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে টিয়াপাখী মার্কায় মোঃ আবুল মাছন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচিত, সহ-সভাপতি পদে আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে মোঃ রুবেল পেয়েছেন ১১৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাতাল মাছ প্রতীক মোঃ ফেরদৌস পেয়েছেন ৮০ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে ইকবাল হোসেন বাপ্পী পেয়েছেন ১২৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আম প্রতীক মোঃ শেখ ফরিদ পেয়েছেন ৬৮ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে মোঃ হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীক মোঃ এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কলম প্রতীক মহিন উদ্দিন মাহিন পেয়েছেন ৩৩ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোবাইল প্রতীক নিয়ে রিয়াজুল ইসলাম রিসাত পেয়েছেন ১২৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিভিশন প্রতীক মোঃ আব্দুল আলীম ভান্ডারী পেয়েছেন ৬৫ ভোট, অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক বই প্রতীক মোঃ হাসান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত, প্রচার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছে মাইক প্রতীক সামিউল ইসলাম সাদিন পেয়েছেন ১২৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলসী প্রতীক পেয়েছেন ৬৩ ভোট, কার্যকরী সদস্য যথাক্রমে- হরিণ প্রতীক মোঃ আব্দুল মান্নান সওদাগর মোঃ ইমরান, মোঃ ওমর ফারুক মিন্টু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচন চলাকালীন শেষ সময় পর্যন্ত অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসানের নেতৃত্বে ছিল একটি টিম যাদের তত্ত্বাবধানে অতিথিদের আপ্যায়নসহ সাংগঠনিক বিষয়ে দেখভালো করেছিল।