শিরোনাম

ড. হাসান মাহমুদকে ক্রিয়েটিভ তথ্যমন্ত্রী বললেন: মির্জা ফখরুল

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ক্যাসিনো তো ক্যাসিনোই! গত এক বছরে দেশ থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে সুইস ব্যাংকে গেছে। এটি মামুলি অপরাধ। তার চেয়ে বড় অপরাধ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া। গত নির্বাচনে ভোটের নামে এ প্রহসন হয়েছে। তিনি বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, টাকা পাচারের চেয়ে বড় অপরাধ ভোট ডাকাতি। গত নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

রোববার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে এ মন্তব্য করেন ফখরুল। নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন ফখরুল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, বার বার দেশের মানুষকে নিয়ে সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু ১৮ মাস ধরে তাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।

বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া এখন এতো অসুস্থ যে হেঁটে বাথরুমে যেতে পারেন না, খাবার টেবিলে যেতে পারেন না। তাকে দুজন মিলে ধরে নিয়ে যেতে হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করতে দেয়া হয় না। বন্দি করে, দমনপীড়ন করে জনগণের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।

ক্যাসিনোকাণ্ডে তারেক রহমানকে জড়িয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ত্যথমন্ত্রী নতুন নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন। ক্যাসিনোর টাকা না-কি প্রতি মাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে যায়! কি বিশ্লেষণ তার, ক্রিয়েটিভ তথ্যমন্ত্রী। তিনি এ তথ্য আবিষ্কার করেছেন।

ফখরুেল দাবি করেন, এমন কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আপনাদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। আপনাদের চুরি-ডাকাতি প্রকাশ হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা জনগণকে বোকা বানিয়ে, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দিচ্ছে।

ফখরুল বলেন, গত নির্বাচনের আগে ও পরে ২৬ লাখ লোককে আসামি করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে এক লাখ মামলা। একশ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি সাতশ জন অজ্ঞাতনামা! বিএনপির সব নেতাকর্মীর নামে মামলা।

যে মানুষ কোর্টের বারান্দা চিনতেন না তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের দল। আমরা মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। এসময় বেগম জিয়ার মুক্তিসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দাবি করেন ফখরুল।

নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু প্রমুখ।

 

সূত্র: জাগোনিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন :