শিরোনাম

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদে নামাজের জামাত বিষয়ে নির্দেশনা

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

দেশের মসজিদগুলোতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামায়াত এবং জুমার নামাজের জামায়াতের বিষয়ে আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওয়াক্তিয়া নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জনকে নিয়ে জামায়াত সম্পন্ন করার জন্য।
সাধারণ মুসল্লিগণ কে মসজিদের জামায়াতে শরিক না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার বিষয়ে আমাদের করণীয় কি, তা অনেকেই জানতে চাচ্ছেন। মসজিদে জামায়াতের বিষয়ে করণীয় নিয়ে গত ২৯ মার্চ ঢাকায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে দেশের শীর্ষ আলেমদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত সভায় হযরত পীর সাহেব হুজুর চরমোনাই -এর প্রতিনিধি হিসাবে আমিও উপস্থিত ছিলাম।

আমাকে হযরত পীর সাহেব হুজুরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে দেশের শীর্ষ ওলামা হযরত যদি কোন বিষয়ে একমত হন তাহলে সে ক্ষেত্রে পীর সাহেব হুজুরের কোন দ্বিমত থাকবে না। সেদিন ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ ভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

২৯ মার্চের পরবর্তী সপ্তাহে দেশের পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্তকেও দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম কোরআন হাদিসের আলোকে যথাযথ বলে মত দিয়েছেন।

ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষ ও নির্ভরযোগ্য দুই জন মুফতি; আল্লামা মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ এবং আল্লামা মুফতি দেলোয়ার হোসাইন ভিডিও বার্তায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়ে তাদের সমর্থনের বিষয়টি ব্যক্ত করেছেন।

অতএব এ ব্যাপারে আমাদের সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ হলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাই ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় থাকবো।
নিজ ঘরেই পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করব।

বেশি বেশি জিকির-আজকার, নফল রোজা, নফল নামাজ পড়বো এবং বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কান্নাকাটি করবো। আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা বিশ্ববাসীকে এই ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে নাজাত দান করুন।

মুহতারাম হযরত পীর সাহেব চরমোনাই এর পক্ষে- মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন :