শিরোনাম

দ্রুতই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকার উদ্যোগ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত মিয়ানমার তাদের ফেরত নেবে বলে সরকার আশা করছে।

সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।

লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, যে কোনো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াই জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি। রাখাইন রাজ্যে যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারকে রাজি করানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ শিগগিরই রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

একই প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন জানান, ওআইসি’র পক্ষ থেকে গাম্বিয়া জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। এ মামলার শুনানি শেষে গত ২৩ জানুয়ারি রায় প্রদান করা হয়। আইসিজেতে শুনানিকালে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতা অং সান সুচি তার দেশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা প্রতিরোধে দেশটিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইসিজের দেয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন রোহিঙ্গা প্রত্যার্বাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। একই সঙ্গে সেখানে রাখাইন নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফলে বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে আস্থা জোগাবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ ও ফোরামে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৫ম যৌথ ওয়াকিং গ্রুপের বৈঠকে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ভারত সফর করেন। গত ৫ অক্টোবর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি, নৌপরিবহন, অর্থনীতি, অডিন্ন নদীর পানিবণ্টন, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি-সংক্রান্ত সাতটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন :