শিরোনাম

নওগাঁয় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লাবনি অপহরণের ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি!

 

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ সংবাদদাতা: নওগাঁয় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবার বখাটে কলেজ ছাত্র কর্তৃক এক ছাত্রী অপহরণ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ও গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ঘটনাটি জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ১০ নং ভীমপুর
ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তেজপাইন গ্রামের সুরেষ চন্দ্র মন্ডলের নাবালিকা মেয়ে কুমারী লাবনী মন্ডল (১৪) ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী, বার্ষিক পরিক্ষা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ থেকে বান্দবীদের সামনেই প্রকাশ্যে- দিবালোকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনায় ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহরনের শিকার ছাত্রী। মেয়ের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার পিতা-মাতা সহ স্বজনরা। এঘটনায় ঐ পরিক্ষার্থীর পিতা ঘটনার দিনই রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ইতিমধ্যেই
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ।

অপরদিকে অপহরনকারীর সহযোগীরা ঘটনার পরের দিন মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করায় মেয়েটির মা- বাবা সহ স্বজনরা আরো দিশেহারা অবস্থায় দিবা-
রাত্রী পার করছেন। অপহরনের শিকার পরিক্ষার্থীর পিতা নওগাঁর মহাদেবপুর
উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের তেজপাইন গ্রামের সুরেশ চন্দ্র মন্ডল, মাতা শ্রীমতি মলিনা রানী মন্ডল ও এলাকাবাসী (২৯ নভেম্বর) শুক্রবার জানান, আমার নাবালিকা মেয়ে কুমারী লাবনী মন্ডল (১৪) পাশ্ববর্তী
রসুলপুর উচ্চ-বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।

সম্পতি বেশকিছু দিন থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করাকালে পথে একই গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ হাওলাদারের কলেজ
পড়ুয়া লম্পট ও বখাটে ছেলে মোহন চন্দ্র হাওলাদার (২২) ও তার সহযোগীরা বিভিন্নভাবে অশ্লিল মন্তব্যকরায় এক
পর্যায়ে মেয়েটি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরেন এবং সম্পূর্ন ঘটনাটি এসে বাড়িতে জানালে আমরা প্রাথমিকভাবে ছেলেটিকে সহ তার পরিবারকেও জানিয়ে এমন আচরন করতে নিষেধ করি।

এরপর মোহন চন্দ্র হাওলাদার ও তার সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে
আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসাকালে হুমকি- ধামকি দেয়া শুরু করলে। মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়া- আসা ও বন্ধ রাখেন। সম্পতি (২৭ নভেম্বর) বুধবার বার্ষিক
পরিক্ষার প্রথমদিন সকালে পরিক্ষা দেয়ার জন্য আমার মেয়ে কুমারী লাবনী মন্ডল ও তার সহপাঠি কুমারী পাপিয়া মন্ডল, কুমারী হাসি মন্ডল এক সাথে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বটতলি নামক স্থানে পৌছালে, এ সময়
জোরপূর্বক পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে মহন চন্দ্র (২৩) সজল প্রমানিক (২২), সবুজ হাওলাদার (২৩) ও টুটুল হাওলাদার (১৭) এর সহযোগীতায় পাকুরিয়া গ্রামের যুবক বিপ্লব হোসেনের মোটর সাইকেলে লাবনী মন্ডলকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারা জানিতে পারিলে এরপর বখাটে মহনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে কোন সদউত্তর না পেয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি
অভিযোগ করে।

পরবর্তীতে মহাদেবপুর থানা পুলিশ ঘটনা
স্থলে এসে তদন্ত করে যায়। বখাটে মহন চন্দ্রের বড় ভাই সাংবাদিককে জানায়, মনে হয় দু,জনার মধ্য সম্পর্ক থাকতে পারে তারপরও ফাইনাল পরিক্ষার প্রথম দিনই মেয়েকে এভাবে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ঠিক করে নাই।

স্থানীয়রা জানান, অনেক আগে থেকেই এই
ছেলে গুলো অসামাজিক ও বখাটে প্রকৃতির। লাবনিকে উঠিয়ে নেওয়ার পর বাকী সাথীরা আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে।
এতে লাবনি মা-বাবা সহ আত্নীয় সজনেরা
হতাশায় পড়েছেন ও মানসিক ভাবে চরম বেকায়দায় রয়েছেন।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আমরা অপহরনকৃত মেয়ে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন :