ভালো মিটার নষ্ট বলে গ্রাহকের কাছ হতে টাকা আত্মসাৎ, নতুন মিটার বাবদ ১০-২০ হাজার টাকা লেনদেন’র অভিযোগ। ৯৯৯ সেবা- এ কল দিলে ডবল মুড়িং থানা পুলিশ ফোর্স এসে উদ্ধার করে। ইপিজেট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ডায়েরী নং: ৪৭১, তাং ০৯/০৯/২০১।
ওলামা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন’র নামে দূর্ণীতির তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে সংবাদ প্রচার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান’র উপর তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়। সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় তার উপর মোক্তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।
মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, সোমবার সকালে তিনি বিদুৎ সংক্রান্ত এসব দূর্ণীতি সম্পর্কে পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী জনাব প্রবীর সেন এর কাছে জানতে নগরীর আগ্রাবাদস্থ কার্যালয়ে যান৷ সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরপরই মোক্তার হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠায় কার্যালয়ের সামনে যা প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর সেন নিজেও দেখেছেন।
কিন্তু তিনি কোনোরুপ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করলে ডবল মুড়িং থানা থেকে পুলিশ ফোর্স আসে ও তাকে ইপিজেড এ নামিয়ে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে সমস্ত ঘটনা তিনি থানায় অবহিত করেন। পরে তিনি বাসায় রওনা হলে মোক্তার গং সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালালে তিনি মারাত্মক যখম হন৷
প্রসঙ্গত আলহাজ্ব মোক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে মিটারের সীল ভাঙ্গা বলে বিনা দোষে গ্রাহককে জরিমানা, ভালো মিটার নষ্ট বলে গ্রাহকের কাছ হতে টাকা আত্মসাৎ এবং নতুন মিটার বাবদ ১০-২০ হাজার টাকা লেনদেন এর অভিযোগ এবং সত্যতা পাওয়ার পর তা নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রচারের লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন দৈনিক ওলামা কন্ঠ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
যার ফলে মোক্তারসহ তার সাঙ্গো-পাঙ্গোরা নগর আওয়ামিলীগ এর প্রভাবশালী নেতার আষ্টেপৃষ্টে বড় হওয়া কর্মী পরিচয়ে হুমকি প্রদান করে আসছিলো। পরবর্তীতে রোববার রাতে তার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ইপিজেড থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করেছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ইপিজেড থানা পুলিশের ভূমিকা যেনো কাঠের পুতুলের ন্যায়।