শিরোনাম

পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন’র ভবিষ্যৎ অনেকটা উজ্জ্বল: বেলাল হোসাইন তালুকদার

কোনো ইসলামী দল গোষ্ঠী বা ব্যাক্তিকে শহর গ্রাম বা মার্কেটের অলিগলিতে গড়ে উঠা ছোট ছোট খুচরা দোকানের সাথে তুলনা করা কোনো ঐক্য প্রত্যাশী কিংবা ইসলামপন্থীদের আচরণ নয়, এটা চোগলখোর বা চক্রান্তকারীদের আচরণ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে একটি বড়সড় শক্তিশালী রাজনৈতিক দল বলতে গেলে এখনো অনেকদূর প্রসারিত হতে হবে, তবে লক্ষণ খুবই ভালো। বলা যেতে পারে, এই দলটির চিন্তা ভাবনা এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম খুবই সুন্দর এবং চমৎকার ও সুশৃঙ্খলভাবে সতর্কতার সহিত পরিচালনা করতে দেখা যাচ্ছে, ফলে অন্য সকল ইসলামপন্থী দলগুলোর থেকে পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেকটা উজ্জ্বল মনে হয়।

দোকান ছোট খুচরা হোক তারপরও সেটা একটা দোকান, পাইকারি দোকানের কেউ তার পাশে গড়ে উঠা খুচরা ছোট দোকানগুলোকে তিরস্কার করা পুরোপুরি বেঠিক। আবার ছোট ছোট খুচরা দোকানের কেউ বড় বড় পাইকারি দোকানগুলোর বিপক্ষে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মিথ্যা কথা বলতে থাকা এটাও পুরোপুরি অনুচিত কাজ, বরং বড় ধরনের ক্ষতিও। তাই ছোট বড় সকলকেই মিলেমিশে খুব মহব্বতের সাথে চলা দরকার। হ্যাঁ, তবে ছোট বা বড় হোক দোকানদার যদি প্রমাণিতভাবে অসাধু হয়, পুরো বানিজ্যিক সার্ভিসের জন্য ক্ষতিকারক হয়, তখন সেক্ষেত্রে তার বিপক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ কিংবা তার থেকে জনসাধারণকে দূরে রাখতে খুব সুন্দর এবং চমৎকার একটা প্লানে কাজ করতে হবে, এটা তখন মোটেই অন্যায় হবে না।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রত্যেকটি বিষয়ে নিজস্বতা বা নিজস্ব অধিকার রয়েছে, যদি সেটা সংবিধান অনুযায়ী হয় কিংবা দেশ বিরোধী না হয়। রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়েও একই কথা, যার যার নিজস্ব অধিকারে সাংবিধানিকভাবে রাজনীতি করতে পারবে এবং রাজনৈতিক দল বা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এটা প্রত্যাকটি নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার। বিনা কারণে বা কোনরূপ দেশদ্রোহিতার প্রমাণ পাওয়া ছাড়া রাষ্ট্রও নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

আমি কথাগুলো লেখার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল ইসলামপন্থী দলগুলোর কিছু অতি-আবেগ নিয়ে কাজ করা বন্ধুদের আবেগকে টেনে ধরা, বিবেকে একটু পজিটিভ মাইন্ডসেট করা।

আমরা ইসলামপন্থী দলগুলো ছোট বড় যেমনটা হোক পরস্পরের দিকে কথায় লেখায় বক্তব্যে ভাষার বিষাক্ত তীর ধনুক ছোড়াছুড়ির সাংস্কৃতি থেকে ফিরে আসতেই হবে, একে অপরকে খুবই খোলামেলা মনে নিজস্ব টেবিলে আলাপচারিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ব্যানারে বা পোস্টারে ভিন্ন ভিন্ন নাম-ই থাকুক, কিন্তু মানসিকতাকে তৈরি করতে হবে পরস্পর আন্তরিকতার বন্ধনে চলার।

শায়খুল হাদীস রহঃ নেই, তার সুযোগ্য সন্তানদের থেকে আমরা শায়খুল হাদীস রহঃ এর প্রতিচিন্তা বা প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই, মুফতি আল্লামা ফজলুল হক আমিনী রহঃ নেই, কিন্তু তার সুযোগ্য উত্তরসূরীগণ থেকে ইসলাম দেশ মাটি ও মানবতার পক্ষে সঠিকভাবে কাজ করা চাই। হযরত মাওলানা ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহঃ নেই, কিন্তু তার তৈরি করে যাওয়া সুযোগ্য সকলের নিকট এদেশের মাটি ও মানুষ অনেক বেশি কিছুর আশাবাদী। আল্লাহ তাআলা কবুল করুক। আমীন।

নিউজটি শেয়ার করুন :