শিরোনাম

পুরো ভারত যেন এক টুকরো গুজরাট মানবাধিকার থাকতেও নেই মুসলমানদের

রাশেদুল ইসলামঃ ভারত ক্রমেই অসভ্যতার দিকে ধাবমান হচ্ছে। তাদের থেকে মানবিক গুণাবলী হ্রাস পাচ্ছে। উগ্র পন্তী হিন্দুদের হাতে একের পর এক ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হচ্ছে সেখানকার মুসলমানরা। সম্প্রতি মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারী’র উপর র্নিমম নির্যাতনের চিত্রটি দেখেছে বিশ্ববাসী। হতবাক হয়ে সবাই দেখেছে একটি উগ্রগোষ্ঠি হিন্দু জাতীর কর্মকান্ড।
দেশটিতে ধর্মীয় সহিংসতা বলতে মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বোঝানো হয়। ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজনের সময়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল, প্রায়শই হিন্দু সন্ত্রাসী দ্বারা মুসলমানদের উপর সহিংস হামলার আকারে ছিল, যা সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার একটি নকশা গঠন করে। ১৯৫০ সালের পর থেকে ১৯৫৪ থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ৬৯৩৩ টি ঘটনায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১০,০০০ এরও বেশি মুসলমান নিহত হয়েছে। (সূত্র : উইকিপিডিয়া) যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক অনেক বেশি হবে।

ভারতের পুলিশরা ব্যাপকহারে মুসলিম বিদ্বেষী। মুসলমান হত্যায় তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। ২০০২ সালের গুজরাটে দাঙ্গা তার অব্যর্থ প্রমাণ। ১৯৯৬ সালে ৩১৩ জন মুসলমানকে সিমি সদস্য বলে আটক করা হয়। অথচ তখন সিমির সদস্য সংখ্যা ছিল ১৩২ জন। ভারতের সংবাদ মাধ্যম সংবাদ সংগ্রহ করে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের সূত্র থেকে।
ভারতের নির্যাতিত নিপিড়িত মুসলমানদের পাশে দাড়ানো দায়িত্ব আমাদের। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত ভারতের এই অন্যায় অবিচার ও মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘণসহ ধর্মীয় স্বাধীনতা বিনষ্ট করার বিপরিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন :