নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে সাত বছরের শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফুফু, দুই চাচাসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চারাগাঁওয়ের সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার কালামিয়ার ছেলে নিহত শিশু তোফাজ্জল হোসেনের ফুফা সেজাউল কবির, সেজাউলের বাবা কালা মিয়া, সেজাউলের স্ত্রী (নিহতের ফুফু) শিউলি আক্তার, একই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হবি, তার ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেল, জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে (নিহতের চাচা), লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন।
এ ঘটনায় আটক অপর দুজন শিশুটির দাদা ও এক চাচাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া শিশু তোফাজ্জলের দাদা জয়নাল ও চাচা ইকবাল হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সন্দেহভাজন সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানা পুলিশের ওসি মো. আতিকুর রহমান।
এর আগে শিশু তোফাজ্জল হোসেনকে অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে তার বাবা জুবায়ের হোসেন বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শনিবার গভীর রাতে থানায় একটি মামলা করেন।
তাহিরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় সন্দেহভাজন সাত আসামিকে রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করে প্রত্যেক আসামিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বুধবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে শিশু তোফাজ্জল হোসেন নিজ গ্রাম হতে নিখোঁজ হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়। চারদিন পর শনিবার ভোরে (১১ জানুয়ারি) তাহিরপুর সীমান্তে সিমেন্টের বস্তায় বন্দি ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তোফাজ্জল উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের ছেলে। সে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্থানীয় মাদরাসার ছাত্র ছিল।
নিহত তোফাজ্জল হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর চিরকুট লিখে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না দেয়ায় তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে থানা পুলিশ ওই শিশুর দাদা-চাচা ও ফুফু-ফুফা, প্রতিবেশীসহ দুই দফায় ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।