আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি: কবির মতে সকল ভাষার চাইতে খাসা, বাংলা আমার মায়ের ভাষা। এই ভাষাতেই কথা বলি, এই ভাষাতেই লেখা লিখি। এই ভাষাতেই কথা বলে মিটাই মোদের স্বাধ পিয়াসা। ১৯৫২ সালে প্রাণ প্রিয় বাংলা ভাষার জন্য অসংখ্য ভাষা সৈনিক শহীদ হয়েছেন।
গাজী হয়ে ফিরে আসা বাংলাদেশের ভাষা সৈনিকরা আজ ব্যথিত ও মর্মাহত। দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রীয় ভাবে এদেশে বাংলা ভাষাকে ভাষা দিবস রূপে পালন করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের ১৯৫২ সাল থেকে ২০২০ সাল অর্থাৎ ৬৮ বছরের বাঙ্গালীদের লালিত স্বপ্ন হ্নদয় মাঝে গুমরে মুছড়ে বার বার আছড়ে পড়েছে।
১৯৭১ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা মহান বিজয়ের সূর্য ছিনিয়ে আনার পর এদেশে বহু বার সরকারের পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু দূঃখজনক হলেও সত্যি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদরিনী কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষাকে বহু প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক ভাষা রূপে স্মীকৃতি লাভ করলেও বাংলাদেশের সর্বত্র অদ্যাবধি বাংলা ভাষার প্রচল ঘটেনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইন আদালতে, মোবাইল ফোনে বিভিন্ন কোম্পানির রশিদ বই সহ অনেক স্থানে বাংলা ভাষা অবহেলিত, উপেক্ষিত। শিক্ষিত বড় থেকে ছোটরাও বাংলা ভাষার মাঝে মাঝে ইংরেজি ভাষার সংমিশ্রন ঘটাচ্ছে। যার ফলে, চেয়ার সহ অনেক ব্যবহ্নত দ্রব্যের বাংলার সার্বিক অর্থ অনেকের অজানাই থেকে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে বার্তাগুলো আজও ইংরেজিতে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলা সংখ্যায় মোবাইলে কাউকেই কল করা যাচ্ছে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিন বদলের পালা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে , আইন আদালতে, মোবাইল ফোনে সর্বত্র পুরোপুরি বাংলা ভাষার প্রচলন না হওয়ায় বাংলা ভাষার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি বাঙালির প্রাণের দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বত্র বাংলা ভাষার প্রচলন ঘটানোর জন্য জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এটাই দৈনিক ওলামা কন্ঠের পক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যাশা।