শিরোনাম

বাংলার বুকে দুটি ক্ষতযুক্ত আলোচিত নাম আবরার ও প্রিয়া সাহা : আমির বিন সুলতান

 

বাংলা নামক এই পূর্ব ভূখণ্ডটা পশ্চিমাদের থেকে ছিনিয়ে আনতে, একাত্তরে স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী মুক্তিযোদ্ধের পর এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে বাংলার বুকে দুটি ক্ষতযুক্ত আলোচিত নাম রচিত হয়েছে-

“প্রিয়া সাহা”রাষ্ট্রবিরোধী রাজাকার।
“আবরার ফাহাদ” দেশপ্রেমিক শহীদ।
প্রিয়া সাহা-বাংলার দ্বিতীয় মীরজাফরী তিনি, আমরা দেখেছি সেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের বিচারকার্য আজো চলছে ঠাঁই হয়নি কারো; কিন্তু মজার বিষয় এই এই প্রিয়া সাহা দেশের বিরোধী করেও তার কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়নি সাম্প্রতিক শাসকগোষ্ঠী, বরং নীরব ভূমিকায় বুঝা যায় তার জীবনযাপনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছেন, তার বিরোদ্ধে কেউ আঙ্গুল তুললে তার আঙ্গুল নামিয়ে দেওয়ার সহায়তা। আপামরসাধারণ জনতা ক্ষণে-ক্ষণে টের পাচ্ছে দেশ আমার যাচ্ছে কোন দিকে।
কবিতার ভাষায় যদি বলি…

স্বপ্নে ঘুমে খাস্ নেরে দোল
আগে বাঁচাও মায়ের কোল,
দাদীর প্রীতি ডুবছে জলে
হুঁশ থাকিতেই টেনে তোল।

শঠতার সে যে বংশধর
নিজ বিবেকে বিচার কর
দেশপ্রেমীর ঘাতক যারা
ওরা দেশের মীরজাফর।

সুবিধাবাজকে চিহ্ন কর
বাঁচলে গাজী না হয় মর,
থাকবি নাকি কোঠায় বসে
পরাধীনতা জীবনভর।

মায়ের বুকে কে বিষধর
খুঁজে এবার পৃথক কর,
নয় তো মা’র অধঃপতন
সবচে বড়ই ভয়ংকর।

আবরার ফাহাদ -দেশপ্রেমিক ছিলেন, তাকে দেশীয় গুণ্ডাবাহিনীর হাতে নির্মম আঘাতে শহীদ হতে হয়েছে দেশের পক্ষে মত প্রকাশ করায়, এই দেশদরদী ভূখণ্ডে বাঁচার অধিকার পেল না।
তাকে নিস্তেজ করে দেওয়া হলো! তারা জানে চারাদিয়ে উঠা এই দেশপ্রেমী ফুল বড় হলে স্বার্থান্ধরা সুযোগ পাবে না, তাই সুবাস না ছড়াতেই কলিতেই শেষ করে দিতে হবে।
তাই একদল চক্র পর্যবেক্ষণ করে আবরার পাহাদের মত উঠতি দেশপ্রেমীদের ভ্যান করতে।

এদেশের মানুষ ভুলে নাই; স্বাধীনতা আনার সেই বর্বরতা, প্রতিটা ছাত্রসমাজের কানে কানে পৌঁছে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধের আত্মচিৎকার! মাতৃত্ব হারা পিতাহারা সন্তানরা ভোর রাতে আজো জেগে উঠে বারুদের বিস্ফোরক শব্দে! এখনো ভাসে কানে মায়ের শ্লীলতাহানী ও বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের আত্মকথা!
প্রতিটা প্রান্তরে প্রজাতি জানে বাংলা কিভাবে কিসের বিনিময় পেয়েছি এই স্বাধিনতা ও ভূখণ্ড।

সেই রক্তেকেনা বাংলার একটুকরো মাটির উপর যদি কোন শকুনের পাঞ্জা পড়ে বাংলার বাঙালি সন্তানেরা আবার জীবন দিয়ে ছিনিয়ে নিতে প্রস্তুত। এই বঙ্গের একফালি মাটিও কোন দালাল কে দেওয়া হবে না, এক ফোটা পানিও না! দেনাপাওনা যা ছিলো তার চেয়ে বেশি দিয়েছি,আমরা বাঙালিরা কি পেয়েছি। নতুন করে আর কোন হায়েনার দলকে বাংলার বুকে জায়গা দেওয়া হবে না! যতদিন দেশপ্রেমীকরা বেঁচে থাকবে ততদিন এই বঙ্গে শকুন হাত বাড়ালে শত আবরার যাবে, বাংলার বুক ক্ষতবিক্ষত হবে এক ইঞ্চি মাটি পাশের বাড়ির আবদার মিটাতে দেবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন :