শিরোনাম

ভারতে মুসলমান নিধন চলছেই : মুসলমান রক্ষায় মোদির বিরুদ্ধে ইমরান খানের যুদ্ধ অব্যাহত

আ.সা. আবু তালেব ঃ বাজছে দামামা, বাধঁরে আমামা, শির উচুঁ করে মুসলমান, দেখ হিন্দুস্থানের হিন্দুদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াল পাকিস্তান। মুসলমান নিধনে ওরা হলো উর্ম্মাদ,শুনতে পাওনি হিন্দুস্থানে মুসলমানদের আর্তনাদ !

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) আজ আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি বেঁচে থাকলে হিন্দুরা এতো দূঃসাহস দেখাতে পারতো না। বরং মহান আল্লাহ তায়ালার বন্ধু এই আধ্যাত্মিক মহান অলির মুখে কুরআন – হাদীসের সুমধুর বানী শুনে হাতে হাত রেখে তওবা করে নিশ্চয়ই মুসলমান হয়ে যেতো। তার অবর্তমানে এই অপূরণীয় ক্ষতি মুসলমান জাতিকে ব্যথিত করে তোলেছে।

ভারতের ঐতিহ্যবাহী দেওবন্দ মাদ্রাসার আলেম ওলামা বাঘের ন্যায় কখনো হুংকার দিলেও এখন আর ওদের পাজামা ভিঁজেনা। পাকিস্তানের শাসক নামক শোষক গোষ্ঠি আমাদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্যায় ভাবে চরম জূলুম নির্যাতন চালিয়েছিল। অসহায় মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে ২৫ মার্চ রাতের আধারে গণহত্যা চালিয়ে আমাদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। ভারত তখন সর্বাত্বক সহযোগীতার হাত প্রশস্ত করে বন্ধু রূপে আমাদের পাশে এগিয়ে এসেছিল। অতঃপর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মাত্র নয় মাসে এদেশের দামাল ছেলেরা, কৃষক, শ্রমিক, আলেম – ওলামা যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। ” জয় বাংলা ” শ্লোগানে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পযর্ন্ত প্রকম্পিত হয়ে ওঠেছিল। তারপর ক্রমে ক্রমে ভারতের নগ্ন রূপ ফুটে ওঠে।

বাংলাদেশের বর্ডার সংলগ্ন বিভিন্ন জমি দখল করে মানচিত্রের রূপ পাল্টে দিয়েছে। হিন্দু জঙ্গিবাদী সংগঠনের কট্টর পন্থী নব্য হিটলার মোদি তার সাঙ্গ -পাঙ্গদের দিয়ে ” জয় শ্রী রাম ” হিন্দু ধর্মীয় শ্লোগান মুসলমানগণ না বলায় গুলি করে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে অথবা চতুর্দিক দিক দিয়ে ঘিরে জোট বেঁধে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করছে। মসজিদের ঈমাম সাহেব হুজুর  ও ওদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এধরণের মর্মস্পর্শী করূণ চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এবং পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও বিশ্ব কেন নীরব? মুসলিম দেশের রাষ্ট্রীয় প্রধানরা কেনই বা নিশ্চুপ বিশ্বের ব্যথিত মুসলমানদের ভাবিয়ে তোলেছে। উগ্রপন্থী হিন্দুদের কবল থেকে মুসলমানদের রক্ষায় পাকিস্তান যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ইতিমধ্যে মুনাফিকদের শরীরে আগুন ধরেছে।

আল বদর রাজাকার আখ্যায়িত করে মনের সাধ মিটাচ্ছে। পাকিস্তানে ভারত যে কোন সময় পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে হামলা করতে পারে বলে পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ইতিমধ্যে  রাশিয়া আমেরিকার সীমান্তের কাছাকাছি চুকটোকা এলাকায় দুটি টিইউ পরমাণু বোমারু বিমান পাঠিয়েছে।ভারতকে প্রভাবশালী রাষ্ট্র আমেরিকা ব্যবসায়িক স্বার্থের ভারতের পাশে থেকে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছে। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়া ও মুসলমান নারীদের বাধ্যতামূলক বন্ধ্যাত্বের ইনজেকশন দেওয়া, ধর্ষণ ও নারী পুরুষ সবাইকে পর্যায়ক্রমে হত্যা করার খলনায়ক চীন স্বার্থের জন্য পাকিস্তানের কর্ণধার জনাব  ইমরান খানকে সর্বপোরি সকল ধরনের সহযোীর  আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের করেক জন সৈনিক হতাহত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনীর প্রখ্যাত আলেম শায়খুল হাদীস আল্লামা আহমদ শফি (দাঃ) সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জে ইসলামী মহা সম্মেলনে পবিত্র হাদীস শরীফ থেকে দলিল দিয়ে বলেছেন, ” হিন্দুস্থানের সাথে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। ” প্রখ্যাত আলেম আল্লামা মামুনুল হক জানিয়েছন ” ঈমাম মেহেদী (দাঃ) এর আর্বিভাবের সময় ঘনিয়ে এসেছে। ” বাংলাদেশের প্রভাবশালী দ্বীনি সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য আমির বাতিলের যম মুফতী রেজাউল করীম (দাঃ) ও নায়েবে আমির মুফতী ফয়জুল করীম (দাঃ) সহ সংগঠনের সকলকেই মোদিকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে কাশ্মীর তথা ভারতের মুসলমানদের পক্ষে থাকার কথা ঘোষণা করেছেন।

সম্প্রতি ভারতের এক মন্দির থেকে পুলিশ মুসলমানদের নৃশংসভাবে হত্যার জন্য রক্ষিত প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করায় সারা বিশ্বের মুসলমানগণ ফুঁসে ওঠেছে। উগ্রবাদী হিন্দুদের খেল কখন বন্ধ হবে; তা দেখার অধীর আগ্রহে নিয়ে প্রতিক্ষায় রয়েছে বিশ্বের বীর মুসলমানগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন :