মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা: ভোলায় কোন সংগঠনের নামে যাত্রী বাস, পশুবাহী ট্রাক বা অটো থেকে চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী করেছেন ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার।
৬ আগস্ট বিকেলে ভোলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “কেউ কারো কাছে কোনো বিষয়ে চাদা দাবি করলে সরাসরি আমাকে জানাবেন আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ভোলায় চাদাবাজি করে কেউ রেহাই পাবে না পাশাপাশি কাউকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে লাভ নেই কারণ চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি নিজে তদন্ত করে মামলা গ্রহন করবো।”
তিনি আরো বলেন, “ঈদুল আযহা উপলক্ষে জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় ভোলা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। প্রতিটি বাসস্টান্ড ও নৌঘাট পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে। প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন দেয়ার চেষ্টা করবো পাশাপাশি জাল টাকা ধরার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ তৎপর থাকবে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভোলার কোন ঘাট থেকে নৌযান ছাড়তে দেয়া হবে না। প্রতিটি হাটে পশু বিক্রির খাজনার গ্রহনের তালিকা আগে থেকেই ঝুলানো থাকতে হবে।
তিনি বলেন, “কারো কাছ থেকে জোর করে বেশি খাজনা আদায় করা হলে বা কোন অনিয়ম হলে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। প্রতিটি হাটে পুলিশের কন্ট্টোলরুম থাকবে। কোন হাট ইজারাদার রাস্তার উপর গরুর হাট বসালে তার বিরুদ্ধে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নিরাপত্তার তাগিদে মার্কেট মালিকদের প্রতিটি মার্কেটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানের আহবান করছি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মীর মোহাম্মদ শাফিন মাহমুদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়াটার এসএম মিজানুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান, ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক আবু তাহের, ভোলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক অবিনাশ নন্দী সহ ইজারাদার প্রতিনিধি, মার্কেট মালিক প্রতিনিধি, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি, বাস-ট্রাক মালিক প্রতিনিধি সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াট সাংবাদিক বৃন্দ।