ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানের মধ্যে জয়নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এসএসসি দাখিল পরিক্ষার্থী জাকিয়া আক্তার মুন্নি(২০) গত ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং দুপুরে পরিক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলাবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ করে মুন্নির মা তাসলিমা বেগম। পরে এবিষয়টি ভোলা থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ ভোলার পশ্চিম চরনোবাদ হতে তাকে উদ্ধার করে । তবে পুলিশের পক্ষহতে তাকে অপহরণের ঘটনাটি রহস্যময় বলে জানায় তারা।
এদিকে উক্ত বিষয়টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে মুন্নির পরিবার তাসলিমার পূর্বেকার শত্রুতা উদ্ধারের লক্ষে তার মেয়ে গনধর্ষন হয়েছে বলে জজমিয়া নাটক সাজিয়ে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।এব্যপারে সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত ড.তৈয়ুবুর রহমান ধর্ষণের বিষিয়টি সুস্পষ্ট নয় বলে অভিমত তার।
এদিকে মুন্নির মা তাসলিমা দৌলতখান থানায় ধর্ষণের মামলা করতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ বজলার রহমান ভিকটিম উদ্ধারের পর তার ধর্ষণের কোন সত্যতা পায়নি বলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগ প্রকাশ করেন। তারপরও পুলিশের পক্ষহতে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হলে তারা তা দেয়নি।একপর্যায়ে নাটকীয় ঘটনা জন্মদিতে ভোলার মিডিয়ার কতেক সাংবাদিকদের কাছে এবিষয়ে বিতর্কিত করে গত ২৩-ফেব্রুয়ারী দৌলতখান থানায় মধ্য জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসিন লিটনসহ মোট ৭ ‘জনের বিরুদ্ধে ধর্ষন মাম্লা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে একই কায়দায় নাটকীয় ঘটনা সাজিয়ে ভোলার জজকোর্ট মায়ের ধর্ষণের মামলার বাদী হয় মেয়ে মুন্নি। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশ তদন্তে কোন সত্যতা প্রমান পায়নি বলে মামলা হতে চেয়্যারমেন সহ ৪জনকে অব্যহতি দিলে তাসলিমা নারাজি দেওয়ায় মামলাটি সি আইডির কাছে হস্তান্তর করে আদালত।
এদিকে মুন্নি ধর্ষণের নাটকীয় ঘটনায় মিথ্যামামলা দিয়ে এলাকার জনপ্রিয় চেয়্যারমেন ইয়াসিন লিটনকে আসামি করায় এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারগনসহ স্থানীয় জনতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয় ক্ষোভ জানায়।তাদের মতে তাসলিমা ও তার মেয়ের অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ এলাকার নিরীহ জনগন।এসময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ফরিদ ও চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন
বলেনতাসলিমা(৫৫) ওরফে(তাজি)একজন নোংরা চরিত্রের মামলাবাজ লোভী নারী।মিথ্যা করা তাত পেশা ও ব্যবসা। তার মিথ্যা মামলা হতে সাবেক চেয়ারম্যান মেম্বারসহ অসংখ্য মানুষ হয়রানি হতে হয়েছে। তাসলিমা এপযন্ত নিজে বাদী হয়ে ৮৫টির মতো ধর্ষণ মাম্লা ও অন্যন্য মিথ্যা মামলা করার রেকর্ড আছে। তার এই কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে জনগন তাকে এলাকাছাড়াও করেছে।
এব্যাপারে ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হারুন আমির মেম্বার বলেন,২০১৮সালে লিটন চেয়্যারমেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যর্থহয়ে এবার রাজনৈতিক কুচক্রী মহলের মদদে মা ও মেয়ে নতুন নাটকে মিথ্যা মামলা করেছে বলে দাবি তাদের।
মুন্নির মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাও:সিরাজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের মামলার পরো সে সবকটি পরিক্ষা নিয়মিত দিয়েছে। তাছাড়া ১৩তারিখ পরিক্ষা পরে সাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরতে দেখেছে মাদ্রাসার শিক্ষক হেলাল মাস্টার। চেয়্যারমেনের ইমেজ নষ্ট করতে তাদের এই নাটক।এসময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই এই মামলা করায় বিচারের দাবি করেন।
এদিকে ৪নং ওয়ার্ডের মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিজুল ইসলাম বলেন,তাসলিমা ও মেয়ের বেপর্দা চলার কারনে তার দুই স্বামী তালাক দেয় এবং ২য় স্বামী আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সে ৩টি যৌতুক মামলা করে। তাছাড়া মুন্নি হচ্ছে স্থানীয় ইউপি সফিজল মেম্বারের ছোটভাই মামুনের ৬ নং তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। আরেক ইউপি সদস্য বলেন,মাসকয়েক আগে তার সমঝোতায় বিডিআর আক্তারের নামে মিথ্যা মামলায় ৮০হাজার টাকা দিলেও সে টাকার লোভে আরো দুটি মামলা করে তাসলিমা।
মুন্নির ধর্ষণের ঘটনার ব্যপারে ইউপি সচিব মোঃ ইব্রাহীম বলেন, চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও আগামি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই মিথ্যামামলা।তাছাড়া সে ভোলা ২ আসনের এমপির আস্থাবান। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কুচক্রীদের পরিকল্পনায় সর্বশেষ মা ও মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করায় বলেও তার অভিমত ।
তাসলিমার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাই করলে সে সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ফরিদের বিরুদ্ধে ৯টি ধর্ষণ মাম্লা,ও আপন ভাশুরের বিরুদ্ধে তার ৭টি মামলা আপন চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ মোট ২৬টি মামলা,তার ২য় স্বামীর বিরুদ্ধে ৩টি এবং মেয়ে মুন্নির ৯ বছর বয়সে আপন চাচা কতৃক ধর্ষণের ১টি মামলা ও বিডিআর কর্মকর্তা আক্তারের বিরুদ্ধে ৪টি ধর্ষণ মামলাসহ বর্তমান চেয়্যারমেন ইয়াসিন লিটনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যান্য মামলাসহ মোট ১৯টি মাম্লার বাদী হচ্ছে তাসলিমা ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তার।
বর্তমানে দুটি মামলা ছাড়া বাকি সবকটি মামলা মিথ্যা হিসেবে প্রমানিত হয় বলে সরজমিনে গিয়ে তথ্যসূত্র জানা যায়।
এব্যাপারে ইউপি চেয়্যারমেন ইয়াসিন লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি দুঃখের সাথে জানান,ঘটনারদিন তিনি ভোলার বাহিরে ছিলেন। মামলার অন্যান্য আসামি অনেকে ঢাকায় কর্মরত আছেন। তাসলিমার তার বিরুদ্ধে কেন বারংবার মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে?এ-ই প্রসংগে তিনি বলেন,আল্লাহ প্রতি বিশ্বাস রেখে ও তার মায়ের দোয়ায় তিনি এলাকার মানুষকে তার সেবাদিয়ে জনগনের ভালবাসা অর্জন করাটা তার শত্রুতার কারন। তাইত এই নারী দিয়ে আক্রমন। তার নেতা ভোলা ২ আসনের রুপকার আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপির কাছে তার সুনাম নষ্ট করতে এবং আগামি নির্বাচনে তাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তারা তাসলিমাকে ব্যবহার করছে। তার বিশ্বাস যদি জনগনের ভালবাসা ও তাদের দোয়া তার সাথে থাকে অবশ্যই অতীতের ন্যায় এবারো সকল মিথ্যার অবসান ঘটবে বলে তার বিশ্বাস।এসময় তিনি মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইদেরকে সত্যে সংবাদ প্রচারে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালনের জন্যে অনুরোধ জানান।
পরে স্থানীয় জনগন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের কাছে এই মামলাবাজ নারী তাসলিমা ও মুন্নিসহ সকল মদতদানকারী বিচার ও শাস্তির দাবী জানায়।