শিরোনাম

ভোলায় ৭ জনকে হত্যার হুকুমদাতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে : ইসলামী আন্দোলন, চট্টগ্রাম

 

নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রামঃ আজ (২১ অক্টোবর’১৯ইং) সোমবার, বিকেল ২ টায় নগরীর আগ্রবাদ মোড়ে মহানবী সাঃ ও ইসলাম নিয়ে ফেসবুকে কুটুক্তি করায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ”র ফাঁসি ও একই দাবিতে গত ২০ অক্টোবর ভোলায় আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের নগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মীয় অনুভুূতি ও তার সুরক্ষায় কোন আইন না থাকার কারনে বার বার ধর্ম বিদ্বেষীরা ইসলাম ও রাসুল সাঃ কে নিয়ে কুটুক্তি করার সাহস পাচ্ছে। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম ওলামারা বারবার ব্লাসফেমী আইন করার দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার এতে কর্ণপাত করছেনা। ফলে আজ বিপ্লব চন্দ্র ও কাল অন্য কেউ এভাবে একের পর আল্লাহ ও রাসুল সা. এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে মুসলমানদের অন্তরে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। তাই ধর্ম অবমাননা রোধে অবিলম্বে ব্লাসফেমী আইন পাশ করে বিপ্লব চন্দ্রকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করা জনগনের মৌলিক অধিকার। অনেক সময় প্রতিবাদি জনতা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের দিকে ইট ছোড়ে। এটা গনতান্ত্রিক আন্দোলনের চিরায়ত রুপ। কিন্তু এর ফলে জনতার উপর গুলি চালিয়ে পাখির মত হত্যা করা আইন ও পুলিশের ভাষা হতে পারেনা।

এভাবে ৪ জন নবীপ্রেমিককে গুলি করে হত্যা ও শতাধিক মানুষকে আহত করা স্বাধারণ কোন ঘটনা নয় বরং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হতে পারে বলে আশক্সকা প্রকাশ করেন তারা।

সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বিপ্লব চন্দ্র”র শাস্তি ও গুলি চালানোর হুকুমদাতাদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ৬ দফা দাবি পেশ করেন।

দাবিগুলো হচ্ছে-

১. বিপ্লব চন্দ্রকে ফাঁসি দিতে হবে।
২.নিহতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. আহতদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসা ও পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাদের পরিবারকে খরচ প্রদান করতে হবে।
৪. গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।
৫. ব্লাসফেমী আইন সংসদে পাশ করতে হবে।
৬. মিছিলে গুলিকারী পুলিশ সদস্য ও হুকুমদাতাদের বিচাররে আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা সানাউল্লাহ নূরী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ নেতা মাওলনা মনসুরুল হক জিহাদী, মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন, নগর শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব ডা. ফরিদ খান, চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি মাওলানা সুলতানুল ইসলাম ভূইয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তাজুল ইসলাম শাহীন, নগর সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিশাল এক মিছিল দেওয়ানহাটস্থ নগর কার্যারয়ের সামনে এস দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন :