ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, বিশেষ সংবাদদাতা: এবার ১২ বয়সি মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মি এবং সচেতন মহলের দাবি, ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতেই হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
এমন ঘটনাটি যে শিক্ষকই ঘটাক না কেন? রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মিরা।
এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জের এক মাদ্রাসায়। মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী আমেনা আক্তারের (১২) লাশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন চলছে। নিহত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের মেয়ে ও সলিমগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদাউস মাদ্রাসার ছাত্রী।
সোমবার রাতে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা এলাকায় বিক্ষোভ করে।
নিহতের মা সেলিনা বেগম কান্নাভরা কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমেনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে।
সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির এস.আই শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।