শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

আ স ম আবু তালেব, ঢাকা বিশেষ প্রতিনিধি ঃ- গোটা বাংলাদেশের ন‍্যায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ব্যাপকভাবে আলু চাষ করে থাকে কৃষকগণ। এ স্থানের আলু খাবারের জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। গত বছর করোনাকালীন সময়ে আলুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।

গত বছর আলুর দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি হয়েছিল ৫০ টাকা। যা কৃষকের বিগত দিনের লোকসান মিটিয়ে লাভবান হয়েছিলেন ।তাই এবছর আলু চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ।এবার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন।

জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে লৌহজং বাদে প্রায় সবকটি উপজেলায় আলু উত্তোলনের সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লৌহজং উপজেলার বর্ষার পানির সঠিক সময়ে নামতে না পারার কারণে আলু চাষে বিলম্বিত হয়েছিল ।তাই এখানের কৃষকরা কিছুটা বিচলিত ও চিন্তিত।

সঠিক সময়ে চাষ না করার কারণে আলুর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা তাও সন্দেহ পোষণ করছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেকে জমিতে সেচ দিয়ে পানি দিচ্ছেন ।কেউ কেউ কীটনাশক ঔষধ আলু গাছের প্রয়োগ করছেন। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকের।

বৌলতলী ইউনিয়নের আলু চাষী হাজী মোঃ মতিউর রহমান হাওলাদার বলেন,” কয়েক বছর ধরে আমাদের এখানে আলু সঠিক সময়ে বপন করতে পারি না তাই এখানকার আলু চাষে বিলম্বিত হচ্ছে। সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারলে আমরা লাভবান হতে পারতাম। যায়না এবার আলুর কেমন হবে?”

আরেক চাষী মোঃ মিজান কাজি বলেন, “শেষ মুহূর্তে জমিতে পরিচর্যা করতেছি। এখন একটু বৃষ্টি হলে খুবই ভালো হতো। গরম পড়ে গেছে কিছু কিছু জমিতে নানা রকম রোগ বালাই দেখা দিচ্ছে। তবে আরও এক দেড় মাস আগে আলু চাষ করতে পারলে এই সমস্যাটা দেখা দিত না।”

খিদিরপাড়ার আলু চাষীরা জানান, বর্ষার পানি সঠিক সময়ে নেমে যেতো তাহলে সঠিক সময়ে আলু চাষ করতে পারতাম এবং সঠিক সময় আলু উত্তোলন করা যেত।সরকারের কাছে আমাদের দাবি মাইজগাঁও থেকে বালিগাঁও বাজার পর্যন্ত এই খালটিকে পূনঃখনন করা করা হোক।”

নিউজটি শেয়ার করুন :