যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফযীলত
বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মুফতি ওয়ালীউল্লাহ
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নাহদতুল কুরআন বাংলাদেশ
যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কুরআনুল কারীমের সূরা ফজরের আল্লাহ তাআলা যিলহজ মাসের দশ রাত্রির কসম করে ইরশাদ করেন: শপথ ফজরের ও শপথ দশ রাত্রির।
এর দ্বারা যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফযীলত বুঝিয়েছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: আল্লাহ তাআলার নিকট যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক পছন্দনীয় আর কোন ইবাদাত নেই।
এর প্রতিদিনের রোজা এক বছরের রমাদানের সমতুল্য। আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষভাবে ৯ তারিখ আরাফার রোযা। আমি আল্লাহ তাআলার দরবারে আশা রাখি আশাবাদী, আরাফার দিবসের রোজা রাখলে তিনি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনা খাতা মাফ করে দেবেন।
উক্ত আয়াত ও হাদিসের আলোকে আমাদের করণীয় হলো এই যীলহজ মাসের প্রথম দশ দিন যথাসাধ্য নফল রোজা রাখা এবং রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করা।
যীলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের দশটি আমল
১.নখ ও চুল না কাটা
২.প্রথম ৯ দিনে রোজা রাখা। বিশেষ করে আরাফাত দিনে রোযা রাখা।
৩.বেশি পরিমাণ আল্লাহর জিকির করা।
৪.বেশি পরিমাণ তাকবীর পাঠ করা।
৫.যথা সম্ভব সাদাকাহ করা। ৬.অবিরত দোয়া করতে থাকা।
৭. অধিক পরিমাণ নফল ইবাদাতে মনোযোগী হওয়া।
৮.হৃদয়ের গভীরে থেকে তাওবা করা।
৯ .সামর্থ থাকলে হজ ও ওমরা সম্পাদন করা।
১০. সামর্থ্যবান হলে পশু কুরবানী করা।
(সেই সাথে সাথে মনের পশু ও কুরবানী করতে হবে)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই মহান মাসের হক অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন আমীন!