এম এ ইউসুফ আলী, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দশম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া ছাত্রী অপহরণের মামলার করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত এ মামলার ৪দিন পার হয়ে গেলেও ওই স্কুল ছাত্রী এখনও উদ্ধার হয়নি। ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন পরিবার ও স্বজনরা।
ওই স্কুল ছাত্রীর নাম ছোঁয়া আক্তার (১৬)। সে রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং উপজেলার বাহেরচর গ্রামের বাবর তালুকদারের মেয়ে। গত ২৬ অক্টোবর উপজেলার বাহেরচর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে ছোঁয়া অপহরণ হয়। সেই ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর মেয়ে অপহরণের অভিযোগে রাঙ্গাবালী থানায় বাবর তালুকদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয়।উপজেলার আমলিবাড়িয়া গ্রামের বনি আমিন, লিমন খাঁন, সাকন প্যাদা, রোকন প্যাদা, সরোয়ার প্যাদা, আবু রায়হান প্যাদা ও মালেক প্যদাসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫-৬জন। এ মামলার দিনই সাকন প্যাদা নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে মামলার ৪দিন হয়ে গেলেও অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় পরিবার ও স্বজনরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি বনি আমিন দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছোঁয়াকে কু-প্রস্তাব এবং বিয়ের প্রলোভন দিতো। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকসহ অন্যান্য আসামিদের অবহিত করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বনি আমিন অন্যান্য আসামিদের প্ররোচণায় ছোয়াকে অপহরণের সুযোগ খুঁজে। সর্বশেষ ঘটনার দিন গত ২৬ অক্টোবর সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ছোঁয়া রওনা হলে পথিমধ্যে আসামিদের মদদে বনি আমিন তাকে (ছোঁয়া) জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃত স্কুল ছাত্রী ছোঁয়ার বাবা মামলার বাদী বাবর তালুকদার বলেন, আমরা খুব হতাশায় আছি। মেয়ে অপহরণ হয়েছে এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। মামলার ৪দিন হলেও আমার মেয়ে এখনও উদ্ধার হয়নি। তাৎক্ষনিক এ ঘটনায় মামলা করতে মেয়ের প্রত্যয়নপত্রের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাইনি। তাই দ্রুত মামলাটি করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, মামলায় গ্রেফতার হওয়া একজন আসামিকে আদালত তিনদিনের রিমান্ড দিলেও অসুস্থতার অজুহাতে তাকে একদিন পরই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও ধরার তেমন তৎপরতা দেখছি না।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, স্কুলছাত্রী ছোঁয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে আমরা একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। তাকে তিনদিন রিমান্ডে আনা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থ হওয়ায় আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে আবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে।