শিরোনাম

রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজের নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ নদীতে বিলীন

 

এম এ ইউসুফ আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি : স্থানীয়দের আশঙ্কা,আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাধঁ পুরোটাই ধসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ভাঙন দেখা দিলেও মানসম্মত মেরামতের ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছাস বড় ধরনের ভাঙনের ফলে ক্ষয়ক্ষতি হলেও ব্যবস্থা না নেয়ায় বাড়ছে ভাঙনের পরিধি মনে হচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই।

পটুয়াখালীর জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নকে জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা করতে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ তিন বছর হতে না হতেই সেটি ধসে গেছে। চরমোন্তাজ ইউনিয়নের নয়ার চর গ্রামে বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় লবণাক্ত পানি থেকে কৃষি জমি রক্ষা ও জনস্বার্থে ২০১৭ সালে দ্রত বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগে নেয়। পটুয়াখালী কলাপাড়া জোনের র্নিবাহী প্রকৌশলী বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব দেয় মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

গ্রামবাসী জানান,বাঁধের একাধিক অংশ ধসে পড়েছে। নতুন বেড়িবাঁধ থেকে রক্ষা করা তো দূরের কথা, তার উপর দিয়ে এলাকাবাসী চলাচল করতেই পারছেন না। বাঁধ নির্মাণে মাটির বদলে বালু দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাবে তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়েছে।

নয়ার চর গ্রামের মো.রুহুল শিকদার, শহিদুল খান, বলেন ভেবে ছিলাম বাধেঁর কাজ হওয়ায় বাপ-দাদার ভিটে বাড়ি রক্ষা পাবে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ধসে পড়ায় এখানে বসবাসে অনিরাপদ হয়ে পড়েছি।

চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার মো. হানিফ মিয়া জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ বাঁধ র্নিমাণে অনিয়ম করেছে। মাটির বদলে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে তা দিয়ে ভড়াট করা হয়েছে। জোয়ারের পানি ধাক্কায় বাঁধ ধসে পড়ে ভিতরে পানি ডুকে গেছে তাই আমরা বেড়িবাধেঁর পাশ দিয়ে মানুষ চলা চলের জন্য দুই কিলোমিটার মাটির রাস্তা করে দিয়েছি তবে। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে কাজটি করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন :