ঝালকাঠি বিশেষ প্রতিনিধি:
একাধিক সূত্রে জানা জায় ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার রিটার্নিং অফিসার ও সমাজসেবা অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এর দায়িত্ব পালনে অন্যায়ভাবে লাভবান হয়ে চরমভাবে অনিয়ম করেছেন। উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের ৩ নাং সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী ছালমা বেগম ও মনিরা আক্তার কর্তৃক ।
জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজাপুর বারাবরে দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা জায় ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী জেসমিন আক্তার, পিতা- মোঃ নেছাহার শরীফ, মাতা- পারুল বেগম, গ্রাম- পালট, ভোটার ক্রমিক নং- ২৬১, একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ (হজড়া),
অন্যদিকে তাহার মায়ের নাম কহিনুর বেগম সেখানে লিখেছেন পারুল বেগম, এছাড়াও তিনি একজন অবিবাহিত গৃহিণী কিন্তু পেশা লিখেছেন শিক্ষকতা। এই সমস্ত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য সম্মিলিত দাখিল কৃত মনোনয়ন পত্র ১৯ মার্চ ২০২১ ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় বাছাইকালীন সময় ত্রুটি- বিচ্যুতি দেখে রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা স্থগিত রাখেন,
অবশেষে ঐদিন রাত ৮ ঘটিকারদিকে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনা দেন। এবিষয়ে প্রার্থী ঘোষণার সার্টিফাই কপির জন্য আবেদন করলে দিব দিব বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ২১ মার্চ সকাল ৯ গটিকায় দেওয়ার মৌখিক অঙ্গীকার করেন রিটার্নিং অফিসার, কিন্তু অভিযোগকারী প্রার্থী ছালমা বেগম ও তার স্বপক্ষের লোক জন দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক ও ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে সংগ্রহ করেন।
ছালমা বলেন এতে প্রতীয়মান হয় যে, রিটার্নিং অফিসার অন্যয়ভাবে লাভবান হইয়া এই অনিয়ম-দুর্নীতির কাজটি করেছেন। বিস্তারিত বিষয়ে উল্লেখ পুর্বক যথা যথ কর্তৃপক্ষের বারাবরে জেসমিন আকতারের প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন করছেন ছালমা বেগম। ছালমা আরো বলেন যে, প্রয়োজনে অনেক উপরে যাব, তারপরেও দেখে নিব এর শেষ কোথায়। সর্বপরি এবিষয়ে ছালমা সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।