শিরোনাম

রাধানগর সিএনজি স্টেশন কমিটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মী রহিম রাজ

 

গিয়াস উদ্দিন সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেট জেলা শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ৭০৭ এর অন্তর্ভূক্ত গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর সিএনজি উপ-পরিষদের মনিটরিং কমিটির প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কর্মী এম এ.রহিম রাজ। কোন সেক্টর কেমন, এটা একমাত্র প্রবেশের পর বুঝা যায়।পরিচালনা কমিটির সভাপতি যদি তার কর্মীদের নিয়ে মাদক সেবন করে, যদি একটি সংঘটনের মধ্যে প্রতিহিংসা থাকে,ছয় কিলোমিটারের ভাড়া যদি ২০টাকা হয়,এমন সংগঠন তো যাত্রীসেবার সংঘটন হতে পারে না।মুলত এটা সিন্ডিকেট সংঘটনের পরিচয় বহন করে।

এম এ.রহিম রাজ জানান গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ইংরেজি রোজ বৃহস্পতিবার উক্ত উপ-পরিষদের কমিটি গঠন নির্বাচন হয়। তখন রহিম রাজ ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। গাড়ি চালানোর দক্ষতা তিনি আগেই অর্জন করে রেখেছিলেন। কিন্তুু তিনি কখনো যাত্রীসেবক হিসেবে পরিচয় লাভ করতে চান নি। কিন্তুু নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা একের পর এক রহিম রাজের কাছে নির্বাচনী সহযোগিতার জন্য আসতে থাকেন।
তখন রহিম রাজ সবাইকে বলছিলেন, আপনাদের প্রতি আমার দোয়া ও ভালেবাসা রইলো। এছাড়া আমি আর কিছুই করতে পারবো না।

এমন কথা শুনে সাবেক সভাপতি মোঃআলীহুসেন বলেন রহিম তুমি তোমার এনআইডি কার্ড আর স্টাম্প সাইজ ছবি আমাকে দাও,আমি তোমার ড্রাইভিং সদস্য কার্ড করে দেবো। ফলে তুমি আমারদের ভোটার হয়ে ভোট দিতে পারবে। রহিম রাজ তার কথা রক্ষার্থে কাগজপত্র সংগ্রহ করে সভাপতির কাছে হস্তান্তর করেন। কিছুদিন পর রাধানগর উপ-পরিষদের কমিটি ঘটন নির্বাচন হয়। তখন রহিম রাজ তার পছন্দের ক্যান্ডিডেট কে ভোট প্রদান করেন।

নির্বাচনের কিছুদিন পর রহিম রাজ যাত্রীসেবার জন্য রাধানগর উপ-পরিষদে আসেন।ফলে রাধানগর সিএনজি কমিটি তাকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানায়। তখন থেকে চলতে থাকে রহিমের যাত্রীসেবার গাড়ি। স্হানীয় সুত্রে জানাযায়, দৈনিক আয়কৃত টাকা থেকে একটা অংশ গরীব অসহায়দের কল্যাণে ব্যয় করেন রহিম রাজ।
চলার পথে কোন অমানবিক ঘটনা নজরে পড়লে মিমাংসা করা সম্ভব হলে তিনি তা মিমাংসা করে দিতেন। তিনি কোন মানবতা বিরোধী কাজ দেখলে এগিয়ে যেতেন।

কারণ তার মানবাধিকার সংস্থার প্রধান পরিচালক এডভোকেট জনাব সাইদুল হক সাঈদ স্যার একটি সভায় বলেছিলেন, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, মানুষ কি একটু সহানুভূতি পেতে পারে না? স্যারের এই কথা সে মনে রাখে।
তাই সে একজন যাত্রীসেবক ড্রাইভার হয়ে ও অন্যায়ের প্রতিবাদী মানবাধিকার সংস্হার সদস্য।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির অভিযোগে আটক হন দুই ড্রাইভার।ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা রহিম রাজের ছোট ভাই ইদ্রিসের উপর হামলা চালায়। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান জাফলং বাসী।কিন্তুু রাধানগর উপ-পরিষদের কেউই এই ঘটনার মিমাংসা করতে আসে নি। তারা বলেন ডাকাত ঐদুই ড্রাইভার আমাদের সংঘটনের নয়।

পরে ঐ দুই ড্রাইভারের পক্ষে বিচারে আসেন তাদের ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা এবং খুব সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে বিচার মিমাংসা হয়। কিছুদিন পর ঐ দুই ড্রাইভারের একজন উক্ত সংঘটনের অধীনে গাড়ি চালাতে দেখেন রহিম রাজ।তখন তিনি সংঘটনের সেক্রেটারি জালাল উদ্দিন কে প্রশ্ন করেন, আপনাদের উপ- পরিষদের ড্রাইভার না হয়ে সে কি করে আপনাদের স্টেশনে যাত্রীবাহী গাড়ি চালায়?
প্রশ্নের জবাবে সেক্রেটারি বলেন, তানজিল নামের ড্রাইভারটি সংঘটনের সভাপতির ঘনিষ্ঠ লোক । তিনি তাকে নিয়ে মাদক পার্টিতে অংশ নেন। তানজিল কে বহিষ্কার করতে গেলে সভাপতিও বহিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।কারণ তানজিল সভাপতির ঘনিষ্ঠ লোক।

সেক্রেটারির মুখে এমন কথা শুনে তিনি রেগে বলেন, এখন বুঝতে পেরেছি সংঘটনে কেন আমি বিচার পাই নি। পরে সেক্রেটারি জালাল উদ্দিন বলেন, সংঘটনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামের তোমার ও তোমার গ্রামের ড্রাইভারদের প্রতি হিংসা রয়েছে। তাই সে তোমাদের দিকে আড় চোখে তাকায় এবং দুর্বলতা খুঁজে।  আমি সব কিছুর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংগঠনে একটি বিচারের আবেদন করি। বিচার বসার পর আমি আমার সমস্যাটা উপস্থাপন করি। কমিটির সামনে সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরও রায় হয়নি। সংঘটনের সভাপতি বিচারের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার প্রস্তাব রাখলে আমি রাজি হইনি।

আমি বলি আমার বিচারের দরকার নাই আপনারা আমার আমানতের টাকা ফিরিয়ে দিন। তারা আমার টাকা না দিয়ে উল্টো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তখন আমিও রেগে গিয়ে বলি আপনারা আমার কি বিচার করবেন সেটা আমার জানা হয়ে গেছে। অতপর আমি তাদের অফিস থেকে চলে আসি। পরে আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন তোমার বিচার হবে আগামি কাল।পরের দিন শুনি আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের কারণ জানতে আমি সংঘটনের প্রতিনিধিদের কাছে যাই। কিন্তুু তারা কেউই বহিষ্কারের কথা শিকার করেন নি।তারা সবাই আমাকে বলেছেন তুমি সবাইকে দাওয়াত দাও আজ তোমার ব্যাপারে সবাই বসবো।

বিচারে সুপারিশ করাতে সভাপতির কাছে অজ্ঞাত এক তরুণ সমাজসেবক গিয়েছিল। তখন সভাপতি বলেন, খালি পকেটে কি কোন বিচার হয়? বিচার শেষ করতে টাকা লাগে। একথা শুনে তিনি সভাপতির কাছ থেকে চলে আসেন। এদিকে আমি টানা ১০দিন দাওয়াত দিয়ে ও তাদের সবাইকে একত্র করতে পারিনি। বিভিন্ন অজুহাতে তারা আমার বিচার করতে সম্মত হননি।শেষ পর্যন্ত আমি বিরক্ত হয়ে আজ সংবাদ মাধ্যমে এগুলো তুলে ধরতে বাধ্য হলাম। এবং স্হানীয় মাতব্বর ও ইউনিয়ন বাসির কাছে আমার সুবিচার কামনা করি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন :