রামগতি(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরাঙ্গন মন্দিরে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। হামলার ঘটনায় দুই এসআইসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আহত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন থানার উপ-পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন,কনস্ট্রেবল অমর কান্তি চাকমা, মায়া কুমার চাকমা ও আজম খান।
আহত অন্যরা হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মুশফিক মাহমুদ মৃদুল, রামগতির চরবাদাম ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সেলিম উদ্দিন হাবিব, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম সাব্বির ও সনাতন ধর্মের রাজীব কুমার দাস।পুলিশ জানায়,কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মাস্কপড়া বিপুল সংখ্যক লোক উপজেলার জমিদারহাটের ওই মন্দিরটিতে হামলা চালায়।প্রথমে তারা মন্দিরের বাতিগুলো ভেঙে পেলে।
এরপরই মন্দির ভাঙচুর করে পুলিশসহ উপস্থিত মানুষের উপর ইট-পাটকেল ছোঁড়াসহ হামলা করা হয়। এতে দুই এসআইসহ ৫ জন পুলিশ,যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৩ নেতা ও সনাতন ধর্মের একজন আহত হয়। ঘটনার সময় মন্দিরের বাইরে একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।তবে স্থানীয়রা জানান,কুমিল্লার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মুসল্লীরা মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু কোন ধরনের হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
খবর পেয়ে রাতেই লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ,পুলিশ সুপার ড. এইচএম কামরুজ্জামান,রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মুশফিক মাহমুদ মৃদুল বলেন, মাস্ক পড়া বিপুল সংখ্যক লোক মন্দিরের বাতি ভেঙেই ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
আমাদের কয়েক জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। মন্দীরের ভেতরে পুলিশসহ উপস্থিত মানুষের অবস্থানের কারণে বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।