শিরোনাম

রামগতির বেড়ীবাঁধ দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর মেঘনারপাড়

আমানত উল্লাহ, রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) 

করোনা ভাইরাস কে কেন্দ্র করে লকডাউন না থাকলেও আছে নানা বিধি নিষেধ। এসব বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন থেকেই লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনানদীর পাড়ে উপস্থিত হন দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থী। ঈদের দিন সকাল থেকেই উপস্হিতি বাড়তে থাকে।

বিকেলেই দেখা যায় উপচে পড়া ভীড়।রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বাজার, রামগতি বাজার, টাংকি স্লুইস গেট, ও কমলনগর উপজেলার মাতাব্বর হাট, মতিরহাটসহ মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। কুমিল্লা,ফেনী, নোয়াখালী,লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর থেকেও আসছেন অনেক দর্শনার্থী।তবে সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম দেখা গেছে আলেকজান্ডার সংলগ্ন বেড়ীবাঁধ এলাকায়। চার কিলোমিটার এ বেড়ীবাঁধের সৌন্দুর্যে অনেকেই বিমোহিত হন।

প্রায় সবার হাতেই দেখা গেছে স্মার্টফোনে সেলফি তোলার হিড়িক। সোলার ল্যাম্পপোস্ট বাঁধের তীরে গড়ে উঠা ঝাউ বাগানও সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক ডজন খানেক কংক্রীটের তৈরি বিশ্রাম ছাতা ও বসার জন্য বেঞ্চ। চরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা।গত দুই তিন বছর ধরে আলেকজান্ডার বেড়ীবাঁধের দর্শনার্থী বান্ধব অবকাঠামোর উন্নয়নও হয়েছে ব্যাপক।

যানবাহন রাখার জন্য রয়েছে সু ব্যবস্হা। সব দিক থেকে চলাচলের সুবিধা থাকায় এ স্থান কে ঘিরে দর্শনার্থীদের উপস্থিতির আধিক্য দেখা যায়। দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বিভাগ থেকেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। নিয়োজিত রয়েছে আনসার ব্যাটলিয়ন সদস্যরাও।ঘুরতে আসা এসব দর্শনার্থীদের দু একজন ছাড়া কাউকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা কিংবা মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগ দর্শনার্থীকে মটর সাইকেল নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

তবে দর্শনার্থীর অভিযোগ, অনেক দূর থেকে এসে এখানে ভাল মানের খাওয়ার হোটেলের অভাব বোধ করছেন তারা। ওয়াশরুমের সংখ্যাও বাড়ানো উচিত।এবারের কোরবানীর ঈদে আনুষ্ঠানিকতা একটু বেশি থাকায় প্রথম দিন থেকেই উপস্থিতি অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশী।এ ক্ষেত্রে উপস্হিতির সংখ্যা আরো বাড়তে পারেন বলে জানান স্হানীয়রা।রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল মোমিন জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন :