ওসমান গণি, লক্ষ্মীপুর:
সরকার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বসহ কয়েকটি শর্ত মেনে সারাদেশে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে মার্কেট খোলার অনুমতি দেন। কিন্তু এসুযোগে ভিন্নচিত্র হয়ে উঠে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহর । গত দু’দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত রায়পুর শহরের মার্কেটগুলোতে নারী ও শিশুসহ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বিভিন্ন দোকান ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় জমে উঠে। এতে স্বাস্থবিধি ও সামাজিক দুরত্ব তোয়াক্কা করেনি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। মানুষের সমাগম বন্ধ করতে লকডাউন দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সামাজিক সংগঠন। এমনকি মার্কেটগুলোতে নারী-শিশুদের সমাগম দেখে উপজেলা চেয়ারম্যানও তার ফেইজবুকে উপজেলাকে লকডাউন দেয়ারও আহবান জানান।
তাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে এবং নিয়ন্ত্রণ রাখতে সোমবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে রায়পুর উপজেলাকে আজ মঙ্গলবার থেকে (১২ মে-২০) অনিদিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষনা করেছেন।
আর এ লকডাউন কার্যকর করতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউএনও’র নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় শহরে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এদিকে জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার ৪টা , খাদ্য সামগ্রী এবং ঔষধ ক্রয় বিক্রয়ের বিষয়টি বিবেচনা করে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লকডাউন কিছুটা শিথিল করেন উপজেলা প্রশাসন।
রায়পুর এলএম পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ও সামাজিক সংগঠক আলিম উল্লা পিন্টু বলেন, যেভাবে নারী ও শিশুরা মার্কেটে সমাগম করছিলো তাতে করোনা ঝুকি বেড়ে যেত। উপজেলাকে লকডাউন ঘোষনা দেয়া ও অভিযান করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, পৌর মেয়র হাজি ইসমাইল খোকন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও সাবরীন চৌধুরী জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর সু-শৃঙ্খল রাখতে জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে ব্যাক্তি আইন লঙ্গন করবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।