শিরোনাম

লকডাউনে ঘরে ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে কি না? 

 

ওলামা কন্ঠ 
الحمد لله وبالله التوفيق
ঈদের নামায আহনাফের নিকট ওয়াজিব। জুমআর নামাযের জন্য যে সকল শর্ত প্রযোজ্য, ঈদের নামাযের জন্যও সে সকল শর্ত প্রযোজ্য। তবে খুতবা এর ব্যতিক্রম, জুমআর জন্য খুতবা শর্ত এবং তা নামাযের পূর্বে দেওয়া হয়, আর উভয় ঈদের নামাযে খুতবা সুন্নাত এবং তা নামাযের পরে দেওয়া হয়। সুতরাং যদি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত লকডাউন চলতে থাকে এবং মসজিদ ইত্যাদিতে পাঁচ জনের বেশী লোকের একসাথে নামাযের অনুমতি না থাকে তাহলে জুমআর শর্তগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে মসজিদ, বাড়ির বৈঠকখানা, বা বাহিরের কামরায় ঈদের নামায পড়া যাবে।

আর যে সমস্ত লোকেরা ঈদের নামায পড়ার কোন সুযোগ পাবে না, ওযর ও অক্ষমতার কারণে তাদের ঈদের নামায মাফ হয়ে যাবে। সুতরাং তাদের পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে তারা নিজ নিজ ঘরে একাকী ভাবে দুই বা চার রাকাত চাশতের নামায পড়ে নিলে উত্তম হবে। কারণ ফুকাহায়ে কেরাম যারা ঈদের নামায পাইনি তাদের জন্য দুই বা চার রাকাত চাশতের নামায পড়া মুস্তাহাব বলেছেন।

والله أعلم بالصواب
জুমআর জামাতের শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম হল, ইমাম ব্যতিত তিন জন মুসল্লী থাকতে হবে মোট চারজন হতে হবে, এবং ইযনে আম তথা সর্বসাধারণের সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি থাকা। এক্ষেত্রে করণীয় হল, যেখানে ঈদের নামায পড়ছে তার আশপাশের বাড়ির লোকজনকে এবিষয়ে অবহিত করবে, এরপর আসা- না আসা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়)
উল্লেখ্য বাংলাদেশের মসজিদ খোলা থাকায় মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজে শরীক হওয়া কর্তব্য।

কোথাও সুনির্দিষ্ট কারণে ফুল লকডাউন থাকলে গ্রামের কমন উঠান, এপার্টমেন্টের নামাজখানা, ছাদ, কাচারি ঘরে ঈদের জামাত করা যাবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করে এবিষয়ে মুফতী মাসূম বিল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ এর ফতোয়া টি নিচে দেওয়া হল। এবং এর সাথে জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী টাউন করাচী পাকিস্তানের ফতোয়া টি সংযুক্ত করা হল।
করোনা পরিস্তিতিতে ঈদের_নামায_ঘরে_ বা একাকী বা জামায়াতে পড়া যাবে ?

وبالله سبحانه التوفيق
ঈদের নামায পুরুষদের জন্য জামাতে পড়া ওয়াজিব। আর ঈদগাহে পড়া সুন্নাত। তবে বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারণে কেউ যদি ঈদগাহে বা মসজিদে ঈদের নামায জামাতে আদায় করতে না পারে তাহলে সে বাসা-বাড়ীর উন্মুক্ত স্থানে, গ্যারেজ বা ছাদে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে জামাতে পড়তে পারবে। জুমআর শর্তগুলিই ঈদের শর্ত। বিশেষত: ইযনে আম থাকতে হবে। যাতে যে কেউ শরীক হতে পারে। তবে খুতবা শর্ত নয়, ঈদের খুতবা সুন্নাত।

সাহাবাদের যুগেও এই বিষয়টার আমল পাওয়া যায়। যেমন সহীহ রেওয়ায়েতে রয়েছে, আনাস (রাঃ) ঈদের সালাত জামায়াতে না পাওয়ার পর তিনি ঘরে এসে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এমনকি দাস-দাসীদেরকে একত্রিত করে তাকবীর ঈদের জামাত করতেন। তবে, সেখানে তিনি ঈদের খুতবা দিতেন না। কোন এক সময়ে আনাস (রা) এর দাস আব্দুল্লাহ বিন আবি উতবাহ দুই রাকায়াত ঈদের সালাতের ইমামতি করেছেন। -সহীহ বুখারী, ২/২৩, মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, (৫৮৫৫), মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ (৫৮০৩), সুনানে বায়হাকী (৬২৩৭)।

হানাফি মাজহাব অনুযায়ীঃ- যদি কেহ কোন বাধার কারণে ঈদের নামাজ ঈদগাহে বা মসজিদে পড়তে না পারে তবে সে নিজের বাড়িতে খোলা স্থানে জামাতের সাথে শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে নামাজ আদায় করবে। যেখানে যে কেউ শরিক হতে পারে। অর্থাৎ ইজনে আম থাকতে হবে। তবে একা একা ঈদের নামাজ পড়ার কোন সুযোগ নাই।আর যদি জামাতে পড়তে না পারে তাহলে একাকী ঈদের নামায পড়তে পারবে না।
সেক্ষেত্রে তার জন্য ঘরে একাকী সালাতুদ দুহা বা চাশতের ২/৪ রাকাত নামায পড়া মুস্তাহাব

والله تعالى اعلم ودليل هذا
ما ورد عن الصحابة كعلي وابن مسعود، وعن عبيد الله قال:”كان أنس إذا فاتته صلاة العيد مع الإمام جمع أهله فصلى بهم مثل صلاة الإمام في العيد”.(
حسن رواه البيهقي.6237).
عن عبيد الله أن أنس:”كان يكون في منزله بالزاوية، فإذا لم يشهد العيد بالبصرة جمع أهله وولده ومواليه، ثم يأمر مولاه عبد الله بن أبي عتبة فصلى بهم ركعتين”.(صحيح رواه عبد الرزاق.5855).
ورواه البخاري معلقًا، أبواب العيدين، باب: إذا فاته العيد يصلي ركعتين، وكذلك النساء، ومن كان في البيوت والقرى 2/ 23، قبل حديث (987)، ووصله ابن أبي شيبة في مصنفه (5803)، والبيهقي في السنن (6237)
جاء في (المبسوط.السرخسي.39/2): أنها صلاة ما عرفت قربة إلا بفعل رسول الله ﷺ وما فعلها إلا بالجماعة ولا يجوز أداؤها إلا بتلك الصفة وإذا فاتت فليس لها خلف.
وفي الدر المختار مع حاشية ابن عابدين (2/175) (حنفي) : ” ولا يصليها وحده إن فاتت مع الإمام ” انتهى .
وقد اختار شيخ الإسلام ابن تيمية قول الحنفية ، ورجحه الشيخ ابن عثيمين رحمه الله ، كما في “الشرح الممتع” (5/156) .
فقد كان الرسول صلّى الله عليه وسلّم يُداوم عليها ولا يقطعها ولم يتركها ولو مرّة، واُعتمد على ذلك في قول الحنفية بأنّها واجبة، كما أنّ تأديتها تكون بجماعة، ولو لم تكن كذلك لاستُثنيت كصلاتي التراويح والكسوف.

لاک ڈاؤن کی وجہ سے عید کی نماز گھر پر پڑھنے کا حکم
سوال
میں اس وقت سعودیہ عرب میں ہوں، یہاں پر مساجد بند ہیں، نماز گھروں میں ادا کررہے ہیں، سننے میں یہی آرہا ہے کہ عید کے دنوں میں بھی مساجد بند رہیں گی تو ایسی صورت میں عید کی نماز کا کیا حکم ہے؟ میں یہاں ایک مصنع میں رہائش پذیر ہوں، میرے ساتھ تقریباً 15 ساتھی ہیں۔

جواب
اللہ تعالیٰ سے خوب تضرع کے ساتھ دعا کرنی چاہیے کہ رمضان المبارک میں ہی یہ حالات بہتر ہوجائیں اور عید کی نماز باجماعت کی اجازت مل جائے، تاہم اگر عید کے موقع پر بھی یہی صورتِ حال رہی یعنی عید کی نماز مساجد یا عیدگاہ میں ادا کرنے پر پابندی کی صورت میں لوگوں کو چاہیے کہ وہ مساجد کے علاوہ جہاں چار یا چار سے زیادہ بالغ مرد جمع ہوسکیں اور ان لوگوں کی طرف سے دوسرے لوگوں کی نماز میں شرکت کی ممانعت نہ ہو، عید کی نماز قائم کرنے کی کوشش کریں۔ شہر، فنائے شہر یا قصبہ میں عید کی نماز میں چوں کہ مسجد کا ہونا شرط نہی

নিউজটি শেয়ার করুন :