শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে মহাসড়কে পরিবহণ চাঁদাবাজি বন্ধ করায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল

 

ওসমান গনি, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিবহণ চাঁদাবাজি বন্ধ করায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রায়পুর পৌর শহরে শতাধিক সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকরা এ মিছিল করে। মিছিলটি জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় লক্ষ্মীপুরের ডিসি চন্দ্র পাল ও এসপি ড. এএইচএম কামরুজ্জামানকে অভিনন্দন জানিয়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা অটোরিকশাসহ পরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানায়।
এদিকে ১৩ অক্টোবর জেলা ও ১৪ অক্টোবর রায়পুর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় লক্ষ্মীপুরে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক মহাসড়কের অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন বন্ধের বিষয়টি উপস্থাপন হয়। এতে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে সড়কে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯জনকে আটক করে দ্রুত বিচার আইনে মামলার বিষয়টি আলোচনা হয়। এসময় কর্মকর্তারা লক্ষ্মীপুরে পরিবহণ চাঁদাবাজি চলবে না বলে আবারো কঠোর হুশিয়ারি দেয়।

সিএনজি মালিক ও শ্রমিকরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাস, মিনিবাস, ট্রাক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও লেগুনা চলাচল করে। মালিক ও শ্রমিক সমিতির ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা চাঁদা উত্তোলন করে। দৈনিক হাজিরা হিসেবে লোক নিয়োগ করে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ইচ্ছেমতো চাঁদা আদায় করা হয় পরিবহণগুলো থেকে।

এভাবে গত কয়েকবছরে ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন।

সিএনজি চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন বিভিন্ন পয়েন্টে ১০০ টাকার উপরে চালকদের থেকে চাঁদা আদায় করা হতো। সিরিয়ালে গাড়ি ভর্তির নামে প্রত্যেক গাড়ী থেকে নেয়া হতো ৫-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও থানা মানথির নাম ব্যবহার করে প্রতিমাসে আরো ৩০০ টাকা করে নেয়া হতো।
এতে চালকরা বাধ্য হয়ে কিছুটা ভাড়তি ভাড়া আদায় করে।

তবে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহাদয় এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আলোচনা করে প্রত্যেক রোডের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করেন সকলে।

নিউজটি শেয়ার করুন :