ডেস্ক রিপোর্ট:
বরিশাল চরমোনাইর দরবার শরিফের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল লক্ষ লক্ষ মুসল্লিদের কাঁন্নার ধ্বনিতে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) চরমোনাই পীর মাও. সৈয়দ মো. রেজাউল করীম ইসলাহী তরিকতের বয়ানের পরে আখেরী মোনাজাত সমাপ্ত সমাপ্ত করেন।
পীর রেজাউল করীম উদ্বোধনী বয়ানের সময় বলেছিলেন, এ বছরের মাহফিলে যুবকদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ার মতন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের যে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তনে যুব সমাজের ভূমিকা অগ্রগামী। তাই যুব সমাজ যদি চারিত্রিকভাবে ভালো হয়ে যায়, তবে সমাজের বিদ্যমান অনাচার- অবিচারের মূলোৎপাটন হওয়া সময়ের ব্যাপার।
উদ্বোধনী বয়ানসহ তিনদিনে (সাতটি) বয়ান হয়েছে। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পাঁচটি বয়ান ও শায়খে চরমোনাই নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দুটি বয়ান করবেন।
মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দেওবন্দ ও নদওয়াতুল ওলামা এবং তুরস্ক থেকে শীর্ষস্থানীয় আলেমদের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবছর মাহফিলে পৌনে এক কোটির কম-বেশী মুসল্লির সমাগম হয়েছে বলে, চরমোনাই মিডিয়া ছেলের দাবী।
মাহফিলের মিডিয়া সেলের প্রধান মাওলানা মো. শরিয়ত উল্লাহ বলেন, মুসল্লিদের জন্য প্রায় ৩০০ একর জমির ওপর মোট পাঁচটি মাঠে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে সামিয়ানা টানানো হয়েছে। বুধবার সকালে পাঁচটি মাঠই মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। চরমোনাই ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। উদ্বোধনী বয়ানের সময় চরমোনাই এলাকার বিভিন্ন বাগান, পুকুরপাড় গোটা চরমোনাই ইউনিয়ন জুড়ে মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল।
স্যানিটাইজার ব্যবহার ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাহফিলে আগত কোনো মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল ছিল। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবক, র্যাব বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী এবং গোয়েন্দারা প্রশাসনিকভাবে নিরাপত্তা দিয়েছেন। মাহফিলে আগত সাতজন মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। জানাজা শেষে মরদেহ তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন।