শিরোনাম

লেখকশ্রেণীর প্রাণের ন্যায্য দাবি সাহিত্য ভবন চাই

আমির বিন সুলতান, বিশেষ প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গোত্তম শেখ হাসিনা শ্রদ্ধাস্পদেষুর কাছে কবি ভবন / কাব্যকলা ভবন/ লেখক ভবন/ সাহিত্য ভবন বা সাহিত্যকলা ভবন যে কোন নামেই হোক না কেন কবি,লেখক,সাহিত্যিক ও সাহিত্য সংগঠকদের জন্য একটি নিজস্ব ঠিকানার স্বতন্ত্র একটি বহুবিধ ব্যাবহারযোগ্য বহুতলবিশিষ্ট আধুনিক সব সুযোগ- সুবিধা সমৃদ্ধ লেখকশ্রেণীর জন্য একটি নিজস্ব ভবন চাই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বঙ্গোত্তম) আপার প্রতি : – ঢাকার যেকোন প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশেষ করে রমনা- সোরওয়ার্দী পার্ক/ হাতিরঝিলে বহুবিদ ব্যবহারযোগ্য বহুতলবিশিষ্ট একটি স্বতন্ত্র কবি ভবন/ কাব্যকলা ভবন অতিসত্তর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সুবিধাবঞ্চিত সকল কবি,লেখক,সাহিত্যিক,সাহিত্য সংগঠন ও সংগঠকদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে,যারা দেশ গড়ার অন্যতম কারিগর,যাদের লেখা পড়ে সবাই শিক্ষিত হয়,দীক্ষিত হয় সেই কবি,লেখক,সাহিত্যিক বা সাহিত্য সংগঠকদের বসার মতো একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলে এক মাস বাংলা একাডেমির আর সোরওয়ার্দী উদ্যানের কিছু অংশ জুড়ে দেশ বিদেশ থেকে আগত কবি,লেখক,সাহিত্যিক কলমযোদ্ধারা মিলিত হতে পারে বইমেলার কল্যাণে।বাকি এগার মাস কারোর দেখা মিলে না।কারণ সবাই তখন নির্দিষ্ট স্থানের অভাবে যে যার মতো থাকে।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় দেশের সব শ্রেণী পেশার লোকদেরই নিজস্ব একাধিক সমিতিসহ বসার নিজস্ব একাধিক ঠিকানা আছে। সাংবাদিকদের জন্য প্রেসক্লাব সহ আরো অনেক কিছু আছে।ডাক্তারদের বিএমএ ভবনসহ আরো অনেক কিছু আছে।ইন্জিনিয়ারদের ইন্জিনিয়ারিং ইনষ্টিটিউটসহ আরো অনেক কিছু আছে।আইনজীবীদেরও অনেক কিছু আছে।এমনি করে সব শ্রেণী পেশার লোকদেরই কিছু না কিছু আছেই।তারা সবাই সরকারি ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে ইতিপূর্বে।কিন্তু কবি,লেখক,সাহিত্যিক,সাহিত্য সংগঠনের সংগঠকদের নির্দিষ্ট করে বসার একটি নিজস্ব স্থান বা ঠিকানা নেই।শিল্পকলাতেও চিত্রকলা,নাট্যকলা,নৃত্যকলা,সংগিতকলা ভবন আছে শিল্পীশ্রেণীর জন্য। আছে চারুকলা ইনষ্টিটিউটও।শুধু কবি,লেখক,সাহিত্যিকদেরই একান্ত একটি নিজস্ব কিছু নেই।তাই এটি এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সাহিত্যও সংস্কৃতিবান্ধব মনমানুষিকতা সম্পন্ন একজন নেত্রী। সম্প্রতি শেখ হাসিনা আপাকে কবিদের পক্ষ থেকে ” বঙ্গোত্তম ” উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।অগ্রজ শুদ্ধতার কবি অসীম সাহা বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত দেশনেত্রীর জন্মদিন উৎসবে এ ঘোষণা দেন।সকল কবিরা দাঁড়িয়ে এ ঘোষণাকে সন্মান প্রদর্শন করেন।এই অনুষ্ঠান থেকেই আমি( টিপু রহমান) সকল কবি, লেখক,সাহিত্যিক,সাহিত্য সংগঠন ও সংগঠকদের পক্ষ থেকে কবি,লেখক,সাহিত্যিক ও সাহিত্য সংগঠকদের জন্য ঢাকার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যময় পরিবেশে বহুবিধ ব্যবহারযোগ্য বহুতলবিশিষ্ট একটি স্বতন্ত্র কবি ভবন বা কাব্যকলা ভবন নির্মাণের দাবি তুলেছি।উপস্থিত সবার মধ্যে প্রস্তাবটি ব্যাপক সমাদৃত হয়।

আমরা চাই একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কবি ভবন বা কাব্যকলা ভবন।বহুতলবিশিষ্ট উক্ত ভবনে থাকবে সুপরিসর বিশাল লাইব্রেরী।যেখানে একটি ফ্লোরে থাকবে সব কবিদের প্রকাশিত বইয়ের সংগ্রহশালা, একটি ফ্লোরে থাকবে পড়ার সুব্যবস্থা এবং একটি ফ্রোরে থাকবে সমস্ত বই বিক্রির ব্যবস্থা। একটি ফ্লোরে থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।একটি ফ্লোরে থাকবে প্রয়াত কবি লেখকদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য জাদুঘর। একটি ফ্লোরে থাকবে সেমিনার সিম্পোজিয়াম করার মতো বড়সড় কক্ষ ।কয়েকটি ফ্লোরে থাকবে প্রয়াত বিখ্যাত কবি লেখকদের নামে ১০০/১৫০/২০০ আসনবিশিষ্ট একাধিক কক্ষ যেগুলো বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন ন্যয্য মূল্যে ভাড়া নিয়ে তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠান করতে পারবে এছাড়াও নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা যাবে।থাকবে উঠতি তরুন কবি, লেখকদের জন্য শিক্ষামূলক ক্লাস কর্মসূচী পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।ভবনের উপরাংশে থাকবে দেশ বিদেশ জেলা শহর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা কবি, লেখকদের থাকার আবাসিক ব্যবস্থা।থাকবে খাওয়া- দাওয়ার সুব্যবস্থা।ক্যাফেটেরিয়া,ক্যান্টিন থাকবে পর্যাপ্ত।সন্পূর্ন ভবনে থাকবে সর্বোচ্চ ৩৬ এমবিপিস স্পিডের ওয়াই ফাই সংযোগ।থাকবে সাইবার ক্যাফের মতো কম্পিউটার, ল্যাবটব, সাউন্ড সিষ্টেম,মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সুযোগ সুবিধা।বিশ্ব সাহিত্যের নিত্যনতুন সব খুঁটিনাটি বিষয় যেন আমাদের লেখক, কবিদের হাতের মুঠোয় থাকে।সর্বোচ্চ তথ্য সুবিধা সমৃদ্ধ হবে ভবনটি এক কথায়। এভবনের প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে অবশ্যই কবি,লেখক, সাহিত্যিক হতে হবে।এমনকি ক্যান্টিন,ক্যাফেরিয়াও বরাদ্দ পেতে হলে তাকে কবি,লেখক হতে হবে।তাহলে প্রতিটি কর্মকান্ডে বিশেষ দরদ, তাগিদ থাকবে সেবার।মূল কথা এটি হবে কবি,লেখক,সাহিত্যিক,সংগঠকদের তীর্থস্থান

এই দাবি বিশাল কোন ব্যয়বহুল দাবি না।খুবই সামান্য কিন্তু জরুরী ও ন্যায্য।মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সহ সংশিষ্ট সকল সরকারি সচিব ও কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ দাবির প্রতি।আমরা সকল কবি,লেখক,সাহিত্যিকরা আজ থেকে কলম হাতে তুলে নিলাম।এ দাবি আদায়ের জন্য আমরা মিটিং,সমাবেশ,সন্মেলনসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু করব।প্রেসক্লাবে অচিরেই কবিবন্ধনের ডাক দিবো।সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ইভেন্ট তৈরি করে আন্দোলন গড়ে তুলবো প্রয়োজনে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা আমাদের এ দাবি কার্যকরি দৃষ্টিতে বিবেচনা করে অচিরেই কবি ভবন/ কাব্যকলা ভবন নির্মাণের সাহসী ঘোষণা দিবেন এই প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে থাকলাম।মনাননীয়া প্রধানমন্ত্রী লেখকশ্রেণীর যৌক্তিক, মৌলিক,ন্যায্য সার্বজনীন প্রাণের এ দাবিটি সরাসরি নির্দেশে বাস্তবায়িত করে বিশাল লেখকশ্রেণীর হৃদয়ের গভীরে চিরস্থায়ী ভালোবাসার আসন গড়ে নিবেন এটাই আমরা সবাই একান্তচিত্তে কামনা করি।

এ দাবি তুলছেন সকল লেখকের পক্ষে
“অনলাইন গ্রুপ এসোসিয়েশন ” এর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি টিপু রহমান ও এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন :